।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে ‘শিশু অধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইয়েস বাংলাদেশের আয়োজনে বুধবার (১৪ জুন) সকালে শহরের জামান ইন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অপরাজেয় বাংলাদেশ ও প্লান ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় ওয়াই মুভস্ প্রকল্পের মাধ্যমে আয়োজিত ডায়লগ সেশনে জেলা পর্যায়ে শিশু অধিকার বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূকিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সে সাথে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে তৃণমূলের প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়ে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সমাধানের ভূমিকা রাখা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ২০ জন সাংবাদিক।
কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি ও একাত্তর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রাজু মোস্তাফিজ এর সভাপতিত্বে ইয়েস বাংলাদেশের মিডিয়া উইংসের সদস্য সাংবাদিক কে.এম. রেজওয়ানুল হক নুরনবীর সার্বিক পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির প্রতিনিধি আব্দুল খালেক ফারুক, চ্যানেল আই জেলা প্রতিনিধি শ্যামল ভৌমিক, দৈনিক সকালের কাগজ সম্পাদক মাহফুজার রহমান খন্দকার, দৈনিক ইত্তেফাকের ফজলে ইলাহী স্বপন, সময় টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি বাদশা সৈকত, এসএ টিভির প্রতিনিধি জাহিদুল ইলসাম, ডিবিসি প্রতিনিধি ওয়াহেদুজ্জামান তুহিন, উলিপুর ডট কম এর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক অমিত চন্দ্র পাল প্রমুখ।
সভায় সাংবাদিকরা জেলা পর্যায়ে শিশু অধিকার পরিস্থিতির নানা নেতিবাচক চিত্র তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান। হাসপাতালগুলোতে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দগুলোর সুষ্ঠু বণ্টন ও কিশোর—কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে মাঠ পর্যায়ে আরো সচেতনতা সৃষ্টির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তারা আরও বলেন, একটি জেলায় বছরে কত সংখ্যক শিশু বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে, কতজন স্কুল থেকে ঝড়ে পরছে, বিভিন্ন স্কুলের শিশুরা রাজনৈতিক দলে যোগদান করছে নাকি বাধ্য করে করানো হচ্ছে, কতজন শিশু নতুন করে শ্রমের সঙ্গে জড়িয়ে পরেছে কিংবা তাদের পুনর্বাসনে সরকারি দপ্তরগুলো কী কী ভূমিকা রেখেছে তার সঠিক পরিসংখ্যান দপ্তরগুলোতে সহজে পাওয়া যায় না যা সত্যি দুঃখজনক। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিশু অধিকার বাস্তবায়ন সম্পর্কিত নানা কমিটি থাকলেও সেগুলোর দৃশ্যমান কার্যকারিতা চোখে পরে না যার দরুণ শিশুরা তাদের অংশগ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব সংকট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সাংবাদিকরা। পরবর্তীতে এই বিষয়গুলোর উপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিবেদন তৈরি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।