।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের মারধরের হুমকিসহ লাথি মারাও হুমকি দিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এমনকি দলবল পাঠিয়েও হুমকির দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। নিরাপত্তা চেয়ে ২০ কর্মকর্তার আবেদন। বিষয়টিকে ঘিরে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে কর্মকর্তাদের মাঝে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সমন্বয় সভায় প্রকাশ্যে ৩ কর্মকর্তাকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া ও কিভাবে চাকুরী করেন তা দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেছেন অভিযোগ এনে, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরারব লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ৩১ মে ২০২৩ উপজেলা পর্যায়ের ২০ জন কর্মকর্তা তাদের নিরাপত্তা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরারব লিখিত অভিযোগ করেন। গত ২৩/০৫/২০২৩ তারিখে অনুষ্টিত সমন্বয় সভায় প্রকাশে উপজেলা প্রকৌশলী কে.কে.এম সাদেকুল আলম, উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুদ্দৌলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ মোঃ তারিকুল ইসলামকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়াসহ কিভাবে চাকুরী করেন তা দেখে নেওয়ার হুমকি দেন উলিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম হোসেন মন্টু। তাছাড়া দাপ্তরিক কার্যক্রমে আইনানুগ প্রক্রিয়ার বাইরে বিভিন্ন সুপারিশ করে তা প্রতি পালনে ব্যর্থ হলে কর্মকর্তাদের, অফিসে লোকজন পাঠিয়ে অশ্লিল গালিগালাজ, অপমান সহ হুমকি প্রদান করেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্মকর্তাদের মধ্যে চরম অসস্তোষ বিরাজ করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত অভিযোগটি ইতি মধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রেরণ করেছেন।
নিরাপত্তা চেয়ে আবেদনে এক মত হয়ে লিখিত অভিযোগ করেন সহকারী কমিশনার(ভুমি) কাজী মাহমুদুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আশরাফ হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মেশকাতুল আবেদ, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রেজওয়ানুল হক, উপজেলা প্রকৌশলী কে কে এম সাদেকুল আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ মোঃ তারিকুল ইসলাম, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তারিফুর রহমান, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান, উপজেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আমির হোসেন, ডিজিএম উলিপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস সোহানুর রহমান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সকিনা খাতুন উপজেলা, উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুদ্দৌলা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নিত্যানন্দ বর্মন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আঃ কাদেও, সহকারী প্রোগ্রামার ইঞ্জিঃ মোঃ আসাদুজ্জামানসহ ২০ জন।
উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ তারিফুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে বসে সম্মেলিত ভাবে আমরা কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছি।
উপজেলা প্রকৌশলী কে কে এম সাদেকুল আমল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমরা নিরাপত্তা চেয়ে অভিযোগ করেছি। নিরাপর্ত্তা না দিলে এখানে চাকুরী করা সম্ভভ নয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদ্দৌলা বলেন, তিনি আমাদের প্রকাশ্যে লাথি মারার চেয়ে হুমকি দিয়েছেন। ফলে আমরা নিরাপর্ত্তাহীনতায় ভোগছি।
উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টুর সাথে কথা হলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসা অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অফিসিয়ালি নিয়মে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ অগ্রগামী করা হয়েছে।
এব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
//নিউজ/উলিপুর//সোহেল/জুন/১২/২৩