।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
বিশ্ব জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভ্রমণপিপাসুরা। বাংলাদেশের অনেক নাগরিকও এদেশ ওদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবে জানেন কি ভিসা ছাড়াই ঘুরতে পারবেন বিশ্বের ৪১ টি দেশে। যেখানে আগে যাওয়া যেত ৩৮ দেশে। অর্থাৎ এই দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে কোনো ধরণের ভিসা লাগে না, কেবল পাসপোর্ট থাকলেই চলবে।
বিশ্বের ১০৪টি দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে একটি মূল্যায়ন সূচক তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘দ্যা হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স’। আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার (আইএটিএ) ভ্রমণ তথ্যভাণ্ডারের সহযোগিতা নিয়ে প্রতিবছরের মতো এ সূচক তৈরি করেছে তারা। এতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ২০২৩ সালে হ্যানলি পাসপোর্ট সূচক অনুযায়ী, ৪০ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৯ তম
আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী হলে ভিসা ছাড়াই কোন কোন দেশে ঘুরে আসা যাবে।
এশিয়ার ইন্দোনেশিয়া, ভুটান, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ফিজি, ক্যারিবীয় দেশ হাইতি (৯০ দিন), জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাকো, বারবাডোজ (১৮০ দিন), ডমিনিকা, বাহামা, গ্রানাডা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস (৯০ দিন), সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডিনস, আফ্রিকার গাম্বিয়া, লেসোথো, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ মাইক্রোনেশিয়া ও ভানুয়াতু।
বাংলাদেশিদের ভিসা অন-অ্যারাইভাল সুবিধা দিচ্ছে এশিয়ার মালদ্বীপ, নেপাল, কম্বোডিয়া (৩০ দিন), টিমোর-লেস্ট, দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়া (৯০ দিন/ই-ভিসা), আফ্রিকার মরিটানিয়া, মোজাম্বিক, সোমালিয়া (৩০ দিন), উগান্ডা (ই-ভিসা), রুয়ান্ডা (৩০ দিন/ই-ভিসা), মাদাগাস্কার, বেনিন, গিনিয়া-বিসাউ (ই-ভিসা), কেপ ভার্দে, কমোরোস, টোগো, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ সামোয়া ও টুভালু।
বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের জন্য ই-ভিসা (অনলাইন ভিসা) সুবিধা রয়েছে মালয়েশিয়া (৩০ দিন), কাতার, মিয়ানমার (২৮ দিন), আফ্রিকার চার দেশ কেনিয়া (৯০ দিন), ইথিওপিয়া, জিবুতি ও গ্যাবোনে। এছাড়া পর্যটক নিবন্ধন সুবিধা দেয় পূর্ব আফ্রিকার সিশেলেস। বাংলাদেশের জন্য ইলেক্ট্রনিক ট্রাভেল অথরিটি (ইটিএ) ব্যবস্থা রেখেছে শ্রীলঙ্কা।
তবে আইসিএও নিয়ম অনুযায়ী, যে দেশেই ভ্রমণ করেন না কেন, ভ্রমণকারী ব্যক্তিকে নিশ্চিত করতে হবে ভ্রমণের দিন থেকে তার পাসপোর্টের অন্তত ছয় মাসের বেশি মেয়াদ বাকি আছে।