।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
প্রতিদিনই বাড়ছে রোদের তীব্রতা বাড়ছে তাপদহ। প্রচণ্ড গরমে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। হতে পারে হিটস্ট্রোকের মতো মারাত্মক সমস্যা। এ ছাড়া গরমের সময়টাতে বিশেষ কিছু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, যেগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকা খুব দরকার।
গরমের কারণে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা হয় তা হলো পানিস্বল্পতা। প্রচুর ঘামের কারণে পানির সাথে সাথে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণও বেড়িয়ে যায়। সাধারণত এর ফলে শরীরের রক্তচাপ কমে যায়, দুর্বল লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে। পানিস্বল্পতা গরমের খুবই সাধারণ সমস্যা হলেও অবহেলা করলে তা মারাত্মক হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তি এবং যারা বাইরে কাজ করেন এবং প্রয়োজন মতো পানি পান করার সুযোগ পান না, তারাই মারাত্মক পানিস্বল্পতায় আক্রান্ত হন বেশি। এ ক্ষেত্রে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং কিডনির সমস্যা হওয়াও বিচিত্র নয়। এছাড়াও অতিরক্ত গরমে রান্না করা খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। গরমে নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার খেলে বদহজমসহ অনেকের পেটের পীড়া দেখা দিতে পারে।
গরমের এসব সমস্যা থেকে বেঁচে থাকার জন্য যা করতে হবে তা হলো-
সানস্ক্রিন ব্যবহার: গ্রীষ্মকালে ত্বকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলির মধ্যে একটি হল সানস্ক্রিন লাগানো। কমপক্ষে এসপিএফ ৩০ বা তারও বেশি সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। বাইরে যাওয়ার ১৫-৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন প্রয়োগ করুন। এটি আপনার ত্বককে ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করবে। ফলে রোদে পোড়া, অকাল বার্ধক্য এবং ট্যানিং হওয়া থেকে ত্বক বেঁচে যাবে।
পানি পান করা: সূর্যের আলো আমাদের ত্বককে দ্রুত ডিহাইড্রেট করতে পারে। তাই প্রচুর পানি পান করা উচিত। এতে ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে। বাইরে গেলে একটি পানির বোতল বহন করুন। কারণ, ঘামের জন্য আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। এ ছাড়া পানি সমৃদ্ধ ফল এবং শাকসবজি যেমন তরমুজ, শসা খান। এগুলো অতিরিক্ত পুষ্টি, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। হাইড্রেটেড থাকলে ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। ত্বকের বলিরেখাও প্রতিরোধ করে।
রোদে পোড়া দাগ দূর করা: রোদে ত্বকে পুড়ে গেলে সপ্তাহে দুবার অ্যালোভেরা জেল বা অ্যালোভেরা আইস কিউব মুখে লাগান। এটি ব্রণ-সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি দেবে। প্রদাহ কমাতেও সাহায্য হবে।
এছাড়াও তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে খেতে পারেন যে ৫টি খাবার, তরমুজ, শসা, আম, লেবু, টমেটো
প্রচণ্ড গরমে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে যায় তবে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। রোগীকে দ্রুত শীতল কোনো স্থানে নিয়ে যেতে হবে, ফ্যান বা এসি ছেড়ে দিতে হবে, সম্ভব না হলে পাখা দিয়ে বাতাস করতে হবে। রোগীর গরম কাপড় খুলে ফেলতে হবে এবং ভেজা কাপড় দিয়ে বার বার শরীর মুছে দিতে হবে। সম্ভব হলে গোসল করতে হবে। রোগীকে প্রচুর পানি ও খাবার স্যালাইন পান করতে দিতে হবে। যদি কেউ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় এবং অজ্ঞান হয়ে যায় তবে দ্রুত শরীরের তাপমাত্রা কমাতে হবে। এ ক্ষেত্রে রোগীকে অবশ্যই দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে, ঘরে চিকিৎসা করার কোনো সুযোগ নেই।