।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ‘ব্রহ্মপুত্র সেতু’ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ এগিয়ে চলছে। সম্প্রতি জাতীয় সংসদের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও এর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সেতুটি হলে কুড়িগ্রামের সাথে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দ্বার খোলার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে নতুন মাত্রা যোগ হবে। মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটবে এবং দূর হবে দারিদ্র্য।
গত শনিবার (২৭ মে, ২০২৩) জাতীয় সংসদের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কুড়িগ্রাম জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের উপর চিলমারী-রৌমারী সড়কে প্রস্তাবিত সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এছাড়া, ১৫তম হতে ১৮তম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ও সুপারিশসমূহের বাস্তবায়নের সর্বশেষ অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
ব্রহ্মপুত্র নদে সেতু তৈরী হলে রৌমারী ও রাজীবপুরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে, ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর চাপ কমবে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগের একমাত্র সড়ক সেতু বঙ্গবন্ধুর সেতুর ওপর প্রায় ৪০ ভাগ পরিবহন চাপ কমে আসবে। আর সেতুতে রেল যোগাযোগ যুক্ত করলে মানুষের যোগাযোগ ব্যয়ও কমে আসবে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হবে।
গত বছরের নভেম্বরেও ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের গঠিত দলের সদস্য অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান (পিএনডি), সেতু কর্তৃপক্ষের সদস্য ও প্রকল্প পরিচালক লিয়াকত আলী, সেতু বিভাগের সদস্য ও উপসচিব (বাজেট) আবুল হাসান চিলমারী পরিদর্শন করেন।
ব্রহ্মপুত্র নদের সেতু না থাকায় কুড়িগ্রাম-রংপুর-বগুড়া হয়ে ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে যেতে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা ব্যয় হয়। অন্যদিকে রৌমারী শেরপুর-জামালপুর দিয়ে ঢাকা-সিলেট-ময়মনসিংহ যেতে ৫ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। এই সেতু বাস্তবায়ন হলে সময় এবং অর্থনৈতিকভাবে সবাই লাভবান হবে।
শুধু দেশে নয় এই সেতু হলে আন্তর্জাতিকভাবেও তা গুরুত্ব পাবে। কারণ ভারতের আসাম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মিজোরাম রাজ্যসহ নেপাল এবং ভুটানের ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে