।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে পুলিশের ‘ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক’ চালু করা হয়েছে। সোমবার (২৯ মে) ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস ড্রিলশেডে বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে আগত প্রায় ১৫০ জন নাগরিক ও সেবা প্রার্থীর বক্তব্য শোনেন ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিকে উপস্থিত কর্মকর্তাগণ।
জেলা পুলিশ জানায়, যেসব ফৌজদারি মামলা হয়, সেগুলোর দুই-তৃতীয়াংশ জমি, প্রেম-পরকীয়া, যৌতুক ও মাদকসংক্রান্ত। জমিজমা ও সম্পর্ক নিয়ে যেসব ফৌজদারি মামলা হয়, তার অধিকাংশই সিভিল স্যুট বা সামাজিক ইস্যু, কিন্তু অনেকে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে এসব মামলাকে যেনতেনভাবে ফৌজদারি মামলায় রূপান্তর করেন, যা আদতে কোনো পক্ষের জন্যই মঙ্গলজনক হয় না। এমন বাস্তবতায় ফৌজদারি মামলার মাধ্যমে সময়, অর্থ ব্যয়, ভিজিট কমাতে এবং রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয় করতে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ মাসিক ভিত্তিতে চালু করেছে ‘ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক’।
এ সময় কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ রুহুল আমীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মোছাঃ শারমিন আক্তার, উপ-পরিচালক জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর মোঃ রোকোনুল ইসলাম, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোছাঃ জেবুন্নেসা, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোঃ আবু জাফর প্রমুখ।
নাগরিক সেবায় পুলিশের উদ্ভাবনী এই সম্মিলিত উদ্যোগ স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট পুলিশ অভিযাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে বলে সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করেন।
ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিকে নাগরিক সেবা দ্রুতগতিতে নিশ্চিত করতে সহায়তা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রুহুল আমীন, কুড়িগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ. কে. এম. ওহিদুন্নবী, নাগেশ্বরী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন রেজা, ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার (প্রবি.) এস এম ইস্রফীল হাসান ও সহকারী পুলিশ সুপার (প্রবি.) রাসেল রানা।