।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের বাড়িতে হামলা করে স্বজনদের মারপিটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। রবিবার (২৮ মে) দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মানুষজন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে এতে জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যোগ দেন।
পরে সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কুড়িগ্রাম শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল আলম লিটু। তিনি বলেন, আমার ও চাচাতো ভাই হেলাল সিদ্দিক আবুর সাথে একই গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি রফিক উদ্দিন জাহাঙ্গীরের সাথে জমিজমা বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিরোধ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়। এরই এক পর্যায়ে ২৬ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় রফিক উদ্দিন জাহাঙ্গীর গং বহিরাগত প্রায় দেড় শতাধিক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাচুর এবং লুটপাট চালায়। সৌভাগ্যবশত: সেসময় আমি ও আমার স্ত্রী-সন্তান বাড়িতে ছিলাম না বলে বেঁচে আছি। আমাকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা বাসার ফ্রিজ, ল্যাপটপ, থাই গ্লাসের দরজা-জ্বানালা ভেঙে তছনছ করে। এ সময় আমার স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাদের মধ্যে হেলাল সিদ্দিক আবু, দীনা বেগম, আয়শা বেগম, আফসানা বেগমসহ ৫জনকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে। সন্ত্রাসীরা আমার ও আমার চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে থাকা ব্যবসায়িক পঁচিশ লাখ টাকা লুট করে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। পরে গ্রামবাসী আহতদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। থানায় মামলা দায়ের করা হলে ৬ আসামী গ্রেফতার করা হলেও ২জন জামিন পেয়েছে। এত দ্রুত কিভাবে আসামীরা জামিন পেল তা রহস্যজনক। তিনি এই সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমৃলক শাস্তির দাবী করেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ কুড়িগ্রাম শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জামান। এই সন্ত্রাসী হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক মন্তব্য করে দ্রুত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী করেন তারা ।