।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
বাড়তে শুরু করেছে পানি, জেগে উঠেছে ব্রহ্মপুত্র, শুরু হয়েছে তান্ডব। বর্ষা শুরু হতে না হতেই ভাঙ্গনের তান্ডব শুরু হওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষ। বারবার ভাঙ্গনের শিকার মানুষগুলো আবারো পড়েছে বিপাকে। ঠাঁই হীন নিঃস্ব শতশত পরিবার ইতি মধ্যে খুঁজতে শুরু করেছে আশ্রয়স্থল। অনেকের ঠাঁই আশ্রয়ণ কেন্দ্রে হলেও রয়েছে নানান জটিলতা সাথে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বেহালদশা। ফলে দুচিন্তায় দিন কাটছে তাদের।
জানা গেছে, উজানের ঢল সাথে ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়তে শুরু করায় চিলমারীর চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের শতশত পরিবার। ইতি মধ্যে ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নিঃস্ব পরিবার গুলো অন্যের জমিতে ঠাঁই নিলেও আবারো পড়েছে ভাঙ্গনের মুখে। বারবার ভাঙ্গনের শিকার হয়ে দিশাহারা পরিবার গুলো খুঁজছে একটি ভাঙ্গনহীন আশ্রয়। ইতি মধ্যে ভাঙ্গনের সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব কিছু পরিবার আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আশ্রয় গড়লেও অনেকে পায়নি ঘর কিংবা জায়গায় দলিল, রয়েছে নানা জটিলতা এবং দেখা দিয়েছে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে বেহালদশা। বেশকিছু আশ্রয়ণ কেন্দ্র বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, ফলে আশ্রয় নেয়া পরিবার গুলোর মাঝে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ।
সরেজমিন অষ্টমীরচর, নয়ারহাট ও চিলমারী ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ভাঙ্গনের তান্ডব। ইতি মধ্যে বেশকিছু ফসলি জমি, বিভিন্ন স্থাপনা, বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়াও পানি বৃদ্ধির কারনে ডুবে যাচ্ছে ফসলি জমিও।
একদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙ্গনের শুরু এবং ডুবে যাচ্ছে ফসলি জমি অপরদিকে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে মানুষ, ফলে চরাঞ্চলের মানুষের বাড়ছে দুচিন্তা। কথা হলে অষ্টমীর চরের ইশখ ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে খড়ার কারনে ফসলের ক্ষতি হয়ে, সেই ক্ষতি পুষিয়ে না নিতেই ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি সাথে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন কি হবে এখন।
নয়ারহাটের ইউসুফ, মাহফুজার বলেন, পানি বাড়ার সাথে যেভাবে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে বর্ষা শুরু হলে ভাঙ্গনের তান্ডব বৃদ্ধি পাবে বাড়ী ঘর হারিয়ে মানুষ হয়ে পড়বে দিশাহারা।
চরাঞ্চলের মানুষজন জানান, প্রতি বছর ভাঙ্গন শতশত পরিবারকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে, বিলিন হচ্ছে বিদ্যালয় শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়ছে শতশত শিক্ষার্থী, বিপাকে পড়ছে জনসাধারন। ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে সরকারের কাছে ভাঙ্গন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী।
সরকার সব সময় অসহায় মানুষের পাশে আছে জানিয়ে, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, এর আগেও ভাঙ্গনের শিকার পরিবারের পাশে সরকার ছিল এবং থাকবে। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন এলাকা নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/মে/১৮/২৩