কারেন্ট (Current):
আমরা বাড়িতে যে কারেন্ট ব্যবহার করি সেটা কোনো না কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে, এখানে পরিবাহী বলতে তার বা ক্যাবল এর কথা বলা হয়োছে। কারেন্ট কথার অর্থ হলো Flow of free Electrons(Charges) in a conductor অর্থাৎ কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে মুক্ত ইলেকট্রন বা চার্জ সমূহের প্রবাহিত বা চলাচল হওয়াকে কারেন্ট বলে। সহজ কাথায় বলা যায় যে, পদার্থের মধ্যে অবস্থানকৃত মুক্ত ইলেকষ্ট্রন সমূহ নিদিষ্ট দিকে প্রবাহিত হওয়ার হারকে কারেন্ট বলে, অর্থাৎ পরিবাহীর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে মুক্ত ইলেকট্রন বা তড়িৎ আধান সমূহের প্রবাহিত হওয়াকে কারেন্ট বলা হয়।
ভোল্টেজ (Voltage):
ভোল্টেজ হল এক ধরনের বৈদ্যুতিক চাপ বা প্রেসার যেটা পরিবাহীর অভ্যন্তরীণ থাকা ইলেকট্রন(-)সমূহকে স্থানচ্যুত করতে সাহায্য করে। এক কথায় পরিবাহীর অভ্যন্তরীণ থাকা ইলেকট্রন(-)সমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে ফোর্স বা চাপের প্রয়োজন হয় তাকে ভোল্টেজ বলে। ভোল্টেজ হলো এক প্রকার বৈদ্যুতিক চাপ।পরিবাহীর অভ্যন্তরে থাকা ইলেক্ট্রোন সমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে ফোর্স বা চাপের প্রয়োজন হয়,তাকেই ভোল্টেজ বলে। অন্যভাবে বলা যায় যে, অসীম বা শূণ্য বিভবের স্থান থেকে একটি একক ধণাত্মক চার্জকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ করতে হয় তা হল ঐ স্থানের বিভব বা ভোল্টেজ। ভোল্টেজকে প্রধানত V দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর একক হলো ভোল্ট(Volt)
যদি অসীম বা শূন্য বিভবের স্থান থেকে Q ধনাত্মক চার্জ তড়িৎ ক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে আনতে W পরিমাণ কাজ করতে হয়,তাহলে- V=W/Q . অসীম বা শূন্য বিভবের স্থান থেকে যদি 1C (কুলম্ব) ধনাত্মক চার্জকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে 1J (জুল) কাজ করতে হয় তাহলে ঐ বিন্দুর বিভবকে 1V (ভোল্ট) বলে। সাধারণত তড়িৎ বিষয়ক বিভিন্ন কাজে বিভব পার্থক্য ব্যবহার করা হয়। কারণ একটি বিন্দু থেকে আরেকটি বিন্দুতে তড়িৎ প্রবাহ করতে হলে অবশ্যই বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করতে হবে। তড়িৎ উচ্চ বিভব থেকে নিম্ন বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়।
ভোল্টেজ এবং কারেন্টের মধ্যে পার্থক্যঃ
আমরা বাড়িতে যে কারেন্ট ব্যবহার করি সেটা কোনো না কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে। ভোল্টেজ এবং কারেন্টের মধ্যে পার্থক্যঃ নিম্নরূপ-
১। পদার্থের মধ্যে অবস্থানকৃত মুক্ত ইলেকষ্ট্রন সমূহ নিদিষ্ট দিকে প্রবাহিত হওয়ার হারকে কারেন্ট বলে। অন্যদিকে, পরিবাহীর অভ্যন্তরীণ থাকা ইলেকট্রন(-)সমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে ফোর্স বা চাপের প্রয়োজন হয় তাকে ভোল্টেজ বলে।
২। কারেন্টের প্রতীক হলো = “I” । অন্যদিকে, ভোল্টেজ এর প্রতীক হলো V .
৩। কারেন্টের একক হলো = Ampere (A) । অন্যদিকে, ভোল্টেজ এর একক হলো Volt.
৪। কারেন্ট পরিমাপের যন্ত্র হলো = Ampere meter বা Ammeter. অন্যদিকে, ভোল্টেজ পরিমাপের যন্ত্রের নাম Volt Meter.
৫। এমিটার সিরিজ কানেকশনে কানেক্ট করতে হয়। অন্যদিকে, ভোল্ট মিটার সাধারণত যে দুই পয়েন্টের বিভব পার্থক্য নির্ণয় করতে হবে তার সাথে সমান্তরাল ভাবে কানেক্ট করতে হয়।
সূত্রঃ পার্থক্য