।। নিউজ ডেস্ক ।।
ফুলবাড়ীতে মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আ.লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর, তদন্ত কমিটি গঠন এবং সর্বশেষ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের নামে মামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ফুলবাড়ী উপজেলা আ.লীগ।
শুক্রবার(১২ মে) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ফুলবাড়ী আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরে কাউন্সিল ছাড়াই প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। সেই সাথে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন কমিটি করা হয়। যাদের অধিকাংশই পূর্বে বিএনপি-জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। এছাড়াও ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সদস্যরা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত । এই মাদক ব্যবসার ঘটনার জের ধরে গত ৭ মে রাতে ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ও বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাত হাসান তুষারের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৭ জন গুরুতর আহত হয়।
এই অপকর্মের ঘটনা ধামাচাপা দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করে। আমরা উপজেলা আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। গঠিত তদন্ত কমিটি তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা। কিন্তু এর মধ্যেই আমাদেরকে অবজ্ঞা করে বর্তমান ছাত্রলীগ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদককে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে দীর্ঘদিন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। আমার পরে আরও অনেকেই এই উপজেলায় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে এসেছেন। কিন্তু বর্তমানে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে যারা আছেন এদের মত বেপরোয়া কাউকে দেখিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতাকর্মীকে মূল্যায়ন করেনা। ছাত্রলীগের নেতৃত্বের ক্ষমতা দেখিয়ে এরা মাদক কারবার সহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মান ক্ষুন্ন করেছে। এদের বেপরোয়া কার্যক্রম দিন দিন বেড়েই চলছে। আজকে নিরপরাধ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আগামী দিনে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরাও এদের থেকে নিরাপদ নয়। আমি আপনাদের মাধ্যমে জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে এই বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতাদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিন। প্রকৃত আওয়ামী পরিবারের মধ্য থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী কে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে এনে উপজেলা ছাত্রলীগকে কলঙ্কমুক্ত করুন।’
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল বলেন, ‘ অবজ্ঞা ঠিক নয় সংঘর্ষের ঘটনায় যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে প্রত্যেকেই আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষন করেছেন। আমরা নিরপেক্ষ বিচার না পাবার শংকায় থানায় মামলা করেছি। আর মাদক ব্যবসার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়া বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিঠুসহ জেলা-উপজেলার প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।