।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
ফুলবাড়ীতে নিজেদের হাত খরচের জমানো টাকা দিয়ে হাঁসের খামার গড়ে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছেন পাঁচ উদ্যোক্তা। পাঁচ উদ্যোক্তার সকলেই নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের ভারতের সীমান্তঘেঁষা বালাটাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের স্বনির্ভর হওয়ার এবং এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন তারা।
সোমবার (০৮ মে) সকালে তাদের হাঁসের খামারে গিয়ে জানা যায়, দুই মাস আগে সিরাজগঞ্জ থেকে বেইজিং ও কাকলী এই দুই জাতের ৬০০ হাঁসের বাচ্চা নিয়ে এসে ওই গ্রামের অনার্স পড়ুয়া রুবেল ইসলাম (২৪), আশিক মিয়া (২৩), শাকিল মিয়া (২২), কলেজ পড়ুয়া রিদয় ইসলাম (১৯) ও কৃষক নয়ন মিয়া (৪০) এই পাঁচজন মিলে খামারটি শুরু করেছেন। বর্তমানে তাদের খামারে সাড়ে পাঁচ শত হাঁস রয়েছে। প্রত্যহ তিনবেলা মিলে মোট ৫০ কেজি ফীড খাওয়ানো হয়। মাত্র ২ মাস বয়সে গড়ে প্রায় দেড় কেজি ওজন হয়েছে হাঁসগুলোর। আগামী দুই মাসের মধ্যেই ডিম উৎপাদন শুরু হবে। ডিম দেয়া শুরু হলে এখান থেকেই প্রতিমাসে ৭০/৮০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।
ওই এলাকার রুবেল ইসলাম, এরশাদুল হক, আলমগীর হোসেনসহ আরও অনেকে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তাদের খামার গড়ার উদ্যোগটা এলাকার জন্যও অনেক ভালো হয়েছে। এই খামারের মাধ্যমে একদিকে যেমন তাদের বেকারত্ব ঘুচেছে। অপরদিকে, এটা দেখে এলাকার আরও অনেকে খামার গড়ার আগ্ৰহ প্রকাশ করতেছেন।
খামারের শ্রমিক মিঠু মিয়া (২০) বলেন, হাঁস পালনে কঠোর পরিশ্রম করছেন তারা। তাদের হাঁসের খামারে আমি শুরু থেকেই কাজ করতেছি। এখানে কাজ করে প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা পাই। ভবিষ্যতে আমি নিজেও তাদের মতো খামার গড়ার স্বপ্ন দেখছি।
উদ্যোক্তা রুবেল ইসলাম, নয়ন মিয়া বলেন, খামার করে এখন আমাদের বেকারত্ব দূর হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লোকজনও এসে ভালো পরামর্শ প্রদান করেন। আগামী দুই মাসের মধ্যে আমরা ডিম উৎপাদনে সক্ষম হব বলে আশাবাদী। এছাড়াও এলাকার বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে বড় পরিসরে খামার গড়ার উদ্যোগ নিয়েছি। খামারে ডিম উৎপাদন করে নিজ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদনের পরিকল্পনাও রয়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান কনক বলেন, ওই খামারে আমাদের দপ্তর থেকে নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়া হয়। তাদের সফলতা কামনা করে তিনি বলেন, খামারিদের সুপরামর্শ সহ সব ধরনের সহযোগিতা করতে আমার দপ্তর পাশে আছে।
//নিউজ/ফুলবাড়ী//নূর-নবী/মে/১০/২৩