মোঃ রিফাজুল হক কানন:
কুড়িগ্রাম জেলার মোট আয়তনের প্রায় ২২% জুুড়ে রয়েছে নদী ও চর, তাই ঐতিহাসিকভাবে কুড়িগ্রামের সমাজ-সংস্কৃতি-অর্থনীতি-রাজনীতি ও ভৌগলিক অবস্থানে নদীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। এ এলাকার মাটি ও মানুষের সাথে ছোট বড় প্রায় ২০টি নদী (নদী গবেষক শেখ রোকনের মতে) ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। তাইতো নদীভাঙ্গন, নদীভরাট, বন্যা, নদী পয়স্তী, নদী সিকস্তির গল্প এখানকার মানুষের মুখে সহজেই শোনা যায়।
ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, নীলকমল, জিঞ্জিরাম, হলহলিয়া,, ফুল কুমার, সংকোশ,দূর্গাদহ, গঙ্গাধর, ধরনী নদী, নীল কুমুর নদী, সোনাভরি নদী, জালছিড়া নদী,শিয়ালদহ নদী, পুরাতন তিস্তা নদী সহ আরো নাম না জানা ও বিলুপ্ত নদী।নদী গুলোর বয়ে আনা পলিমাটি এখানকার মাটিকে যেমন করেছে উর্বর, তেমনি নদী ভাঙ্গনের ফলে সৃষ্ট চরে সুষম উন্নয়নের অভাবে কুড়িগ্রামকে রেখেছে দেশের অন্যান্ন জেলা থেকে উন্নয়নের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে। যোগাযোগ ব্যাবস্থা,স্বাস্থ সেবা,বিদ্যুৎ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সম্পদের ব্যবহার,আইন সহায়তার অভাব এবং কৃষি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও পরামর্শের অভাবে কুড়িগ্রামের অসহায় বঞ্চিত চর বাসী ক্ষুধা,দারিদ্র,বঞ্চনা,অশিক্ষা ও বেকারত্বের অসহনীয় বেদনা ছাড়াও, সারা বছর নিরন্তর ভাবে বিভিন্ন দুর্যোগের সাথে মরা বাঁচার অলিঙ্গন করছে।প্রতি মুহূর্তে নদী ভাঙ্গন,বন্যা,খরা,শৈত প্রবাহ সহ নানা কারনে পিছেয়ে পরছে এরা পিছিয়ে রাখছে কুড়িগ্রামকে।
২২৯৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ জেলায় প্রায় ৪২০ টি (প্রথম আলো) ছোট বড় চর রয়েছে যা কুড়িগ্রামের মোট আয়তনের শতকরা প্রায় ২২ভাগ।
উত্তর বঙ্গের প্রধান ও বিশিষ্ঠ নদী গুলোর মধ্যে হল তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র। তিস্তাকে এক সময় উত্তর বঙ্গের দুঃখ বলা হলেও বর্তমান সময়ে এটি নাব্যতা হারিয়ে মৃতপ্রায়। এ অবস্থা থেকে মুক্ত নয় ঐতিহ্যবাহী ব্রহ্মপুত্র নদ।ফলে এদের বুকে জেগে ওঠা চর কুড়িগ্রাম জেলার সামগ্রিক উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
কুড়িগ্রাম জেলায় ছোট বড় অনেক নদী থকলেও বিশেষ করে জেলার উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত নদী গুলো অন্যতম। ফুলবাড়ি,ভুরুঙ্গামারী,কুড়িগ্রাম সদর,উলিপুর ও চিলমারীর উপর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলো এ অঞ্চলের মাটিকে উর্বর করে তুললেও এদের বুকে জেগে ওঠা চরের মানুষের সঠিক উন্নয়নের অভাবে কুড়িগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।
মনপুরার চর,অষ্টমিরচর,নয়ার হাট, চিলমারীর চর, কড়াইবরশালের চর, চর পাত্রখাতা, কোদাল কাটির চর, চর রাজিবপুর, বামন ডাঙ্গার চর, যাত্রাপুরের চর, চর লুছনি, চর বেরুবাড়ী, নুনখাওয়ার চর, চর ঝাউকুটি, চর বারোবিশ, অষ্ট আশীর চর, চর মাঝিয়ালী, চর পাখি উড়া, চর আইড়মাড়ী, চর ভেড়ামারা, কালাইয়ের চর, চর বালার হাট, চৌদ্দঘুড়ি, চর শৌলমারী, চর ভুড়ুঙ্গামারী, চর শিমুলবাড়ী, চর ধনীরাম, চর ববলই, নাও ডাঙ্গার চর, টাপুর চর, কাইজার চর, চর গুজিমারী সহ কুড়িগ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নাম জানা অজানা ৪২০ টি চরের মানুষ কে সামাজিক,রাজনৈতিক,অর্নৈতিক,শিক্ষা ও স্বাস্থ ক্ষেত্রে এগিয়ে না আনলে কুড়িগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব না। কুড়িগ্রামের এ চর গুলোর উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি উদ্দ্যোগে প্রতিবছর ঢাক ঢোল পেটালেও বাস্তবে এদের অবস্থার কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে তা ভাববার বিষয়।
আমাদের মনে রাখতে হবে দেহের কোন একটি অংশকে অসুস্থ রেখে যেমন দেহকে সুস্থরাখা সম্ভব না তেমনি চর এলাকার মানুষের উন্নয়ন না করে কুড়িগ্রামের উন্নয়ন কল্পনা করা আমাদের বোকামি।
কুড়িগ্রামের চরের উন্নয়নে আমাদের বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে সুধু সরকারি পৃষ্ট পোষকতায় চড়ের উন্নয়ন প্রায় অসম্ভব। চরের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
কুড়িগ্রামের চরের উন্নয়নে আমাদের যে ব্যবস্থা গুলো গ্রহন করা উচিতঃ
১. আমরা যদি আমাদের কুড়িগ্রামের চর গুলোর মাটি পর্যালোচনা করি তাহলে চরের বয়স অনুযায়ী মাটির ধরনের তারতম্য লক্ষনীয়। তাই চরের মাটি বিশ্লেষন করে কোন চর কোন ফসলের জন্য উপযুক্ত সে বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করে তুলতে হবে। তাছাড়া কৃষক সমবায় গড়ে তুলে কৃষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সমবায় ভিত্তক চাষাবাদে আগ্রহী করে তুলতে হবে।
২.কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থল বন্দর ও বর্ডার হাটের মাধ্যমে ভারতে ছাগল/ভেড়া সহ বিভিন্ন পশু রপ্তানির সুযোগ থাকায় কুড়িগ্রামের চর গুলোতে রপ্তানিমুখী পশুর খামার গড়ে তোলা যেতে পারে।
৩. কুড়িগ্রামে প্রায় ছোট বড় ২০ নদী থাকায় বছরের বিশেষ সময় নদীতে সৃষ্ট কোলা বা অবস্থাভেদে নদীতেই মাছ চাষ সুয়োগ রয়েছে। ফলে সমবায় ভিত্তিক বা ব্যক্তি মালিকানায় মাছ চাষের মাধ্যমে চরের মানুষের আয় বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
৪. চরের ব্রান্ডিং করা, অর্থাৎ বিশেষ চরে বিশেষ বিশেষ ফসল উৎপাদন করা ও সেখানকার ফসলের প্রচার ঘটানো। যেমন চর পাত্রখাতা বেগুন,পিয়াজ তথা সবজি উৎপাদনে চিলমারীতে অন্যান্ন চরের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ফলে এখানকার কৃষকদের এ বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা। কিছু চর বাদাম, ডাল, কাউন, তিশি উৎপাদনে এগিয়ে রয়েছে সেখানকার কৃষকদের সমবায় ভিত্তিক সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা। তাহলে শস্যের প্রচারনা ও বাজার সৃষ্টি হবে।
৫. যেহুতু কুড়িগ্রামের চরের মানুষ গুলো সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে সুতরাং কুড়িগ্রামে প্রস্তাবিত শিল্পাঞ্চল এমন স্থানে স্থাপন করা দরকার যেন চরের মানুষের সেখানে কাজ করার পর্যাপ্ত সুযোগ থাকে।
৬. কুড়িগ্রামের চরগুলোর উৎপাদিত ফসলকেন্দ্রিক শিল্প স্থাপন করা।
এর পাশাপাশি চর অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে আমাদের যে পদক্ষেপ নেয়া দরকারঃ
১. প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ মানের অবকাঠামো সুবিধা প্রদান, দুর্যোগ কালে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ভৌত অবকাঠামো নিশ্চিত করা। তাছাড়া কুড়িগ্রামের চর গুলোতে ভাসমান পাঠাগারের ব্যাবস্থা করা।
২. শিশুদের স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করনের লক্ষে স্কুলে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা, প্রশিক্ষিত চিকিৎসা কর্মী তৈয়েরি, বিনামূল্যে জীবন রক্ষাকারী ঔষধ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, বিশেষ বিশেষ চরের জন্য ভাসমান হাসপাতালের ব্যবস্থা করা।
৩. চর থেকে চরে যোগাযোগের জন্য সংযোগ সড়ক,সাঁকো, সৌর বিদ্যুৎ সহ চর অঞ্চলে উপযোগী অবকাঠামো ও প্রযুক্তি নিশ্চিৎ করা। চরের সাথে উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সবসময় ঠিক রাখার জন্য বিশেষ নৌকা অথবা প্রয়োজনে লঞ্চের ব্যবস্থা রাখা।
৪. দুর্যোগকালে দুর্গত মানুষকে দ্রুত সহায়তার ব্যবস্থা, দুর্যোগ পরবর্তী পুনর্বাসন পাশাপাশি দুর্যোগ সহনশীল জীবিকায়নের লক্ষে জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৫. চরের জমিতে চর বাসির অধিকার নিশ্চিত করা। চর এলাকায় সরকারি উদ্দ্যোগে একটি যৌথ কমিশনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ ভূমি জরিপ সম্পন্ন করা।
৬. উন্নত ও টেকসই বীজ উৎপাদন, কৃষক পর্যায়ে বীজ সংরক্ষন, সার, সেচ সুবিধা,কৃষকের ভুর্তুকি বৃদ্ধি ও পন্য বাজারজাত করনের যখাযথ সুবিধা প্রদান।
৭. চর উপযোগী কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশেষ ঋনের ব্যবস্থা, কর্মক্ষম নারী ও পুরুষের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান।
৮. সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তার ও সহজে আইনি সহায়তা লাভের ব্যবস্থা করা।
৯.নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে চর গুলোকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করা।
১০. সরকারি চাকরিতে বিশেষ সুবিধা প্রদান ও বিদেশে শ্রমিক পাঠানোতে অগ্রাধিকার প্রদান করা।
১১. ব্যক্তি বা সমবায় ভিত্তিক ক্ষুদ্র কুটির শিল্প স্থাপন করা ও মানুষের মধ্যে সঞ্চয়ের মনোভাব সৃষ্টি করা।
১২. চর অঞ্চলে বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা দূর করার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটাতে হবে।
বর্তমানের সরকার উন্নয়নের সরকার হলেও কুড়িগ্রামের চরের মানুষ মুলধারার উন্নয়নের সাথে কতটুকু সম্পৃক্ত বিষয়টি ভাবা দরকার। আমরা যদি একটু লক্ষ করি তাহলে বিষয়টি সহজেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কথাটি অপ্রিয় হলেও সত্য যে সারা দেশের চর অঞ্চলের মত কুড়িগ্রামের চর গুলাও চরমভাবে উন্নয়ন, বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে।
৬ জুন ২০১৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম চর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে সেখানে চর উন্নয়নে ১৪ টি প্রস্তাব রাখা হলেও এর বাস্তবায়নে ধীরগতি আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। তাছাড়াও ২০১৪ সালে জাতীয় বাজেটে ৫০ কোটি টাকা চর অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ করা হলেও এর একটি টাকাও খরচ না করাতে সহজে স্পষ্ট হয় যে চরের মানুষ কতটা অবহেলিত।
১৬ জুলাই ১০১৫ সালের দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার একটি সম্পাদকীয় দেখলে তা সহজে স্পষ্ট হয়ে যায়, ” জাতীয় বাজেটে গত অর্থবছরে (২০১৪-১৫) দেশের চরাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে ৫০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বরাদ্দকৃত অর্থের একটি টাকাও চরের মানুষের উন্নয়নে সরকার খরচ করতে পারেনি। ফলে বরাদ্দকৃত পুরো অর্থই অব্যবহৃত থেকে যায়। বাজেটে বলা হয়েছিল চরের মানুষের যোগাযোগ এবং অন্যান্য খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করা হবে। কিন্তু সেই অর্থ চরের মানুষের কোনো উন্নয়নেই ব্যয় করা হয়নি। এবারের বাজেটেও (২০১৫-১৬) চরের মানুষের উন্নয়নে ফের ৫০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়েছে ‘গত বছরের (২০১৪-১৫) বরাদ্দ অব্যবহৃত থাকা সত্ত্বেও এবারেও ৫০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি’।”
এ খবরের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায় চরের উন্নয়নে সরকারের অনাকাঙ্খিত অবহেলা ও চরের উন্নয়নে যোগ্য নেতৃত্বের সঙ্কট। চরের মানুষ গুলোকে সংগঠিত করে তাদের মধ্যে নেতৃত্বের সৃষ্টি করা। চরের উন্নয়নে সঠিক গবেষনা,পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের আজ খুবেই অভাব।
২০১৫ সালের ৬ জুন জাতীয় চর সম্মেলনে দেশের দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলের ৩২ টি জলার ১০০ উপজেলার প্রতিনিধি থাকলেও ২০ টি নদী বেষ্টিত ৪২০ টি চরের প্রতিনিধিত্বকারী কুড়িগ্রাম কি পেরেছে সেখানে তাদের প্রতিনিধি রাখতে?
সময় এসেছে, কুড়িগ্রামের চর অঞ্চলের মানুষ গুলোকে সংগঠিত করে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে, পাশাপাশি চরে যে সম্পদ আছে তার সুষ্ঠু ব্যবহার করে যে চরের উন্নয়ন সম্ভব তা গবেষনা করে বের করতে হবে। চরে পশু পালন, মৎস চাষ ও কৃষিতে বিনিয়োগ করে যে লাভবান হওয়া সম্ভব সে সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে প্রতিবছর জেলা পর্যায়ে চর সম্মেলন করা যেতে পারে। আমাদের মনে রাখতে হবে, চরের মানুষকে সংগঠিত করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারলেই কুড়িগ্রামের উন্নয়ন যেমন সম্ভব তেমনি সম্ভব আমাদের সকলকে এ অবহেলিত চরের জন্য একটু এগিয়ে গেলে।
আমি মনেকরি,
কুড়িগ্রামের বিস্তীর্ণ চরের মানুষ সোনালী ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে দেখতে আজ বড়ই ক্লান্ত। কুড়িগ্রামের সকল উন্নয়নকামী মানুষ আসুন আমরা সেই স্বপ্নের সারথি হয়ে তাদের স্বপ্ন গুলোকে রাঙ্গিয়ে দেই, এগিয়ে নেই আমাদের চর গুলোকে আমাদের পিছিয়েপড়া কুড়িগ্রামকে।
মোঃ রিফাজুল হক কানন
দপ্তর সম্পাদক, রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি, কুড়িগ্রাম।