আঃ ছোবাহান জুয়েল, দুর্গাপুরঃ
উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ানের কে,সি, রোডের পাশে ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় “বাংলাদেশ ভাওয়াইয়া একাডেমি”। ভাওয়াইয়া গানকে সমৃদ্ধশালী করা ,সংগ্রহ করা ও রক্ষা করার জন্য দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের তত্কালীন চেয়ারম্যান গেলাপ উদ্দিন সরকারের ৫ শতক জমি দান ও এলাকাবাসীর সহযোগীতায় গড়ে ওঠে ভাওয়াইয়া গানের সঙ্গীত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখানে ভাওয়াইয়া গানের পাশাপাশি দেশীয় বাঁশি, ঢোল, তবলা, দোতরা ও সারিন্দা বাজানো প্রশিক্ষণ দেয়া হয় বিনামূল্যে। সপ্তাহে বৃহঃবার ও শুক্রবার দুই দিন ক্লাস নেয়া হয়। বর্তমান ছাত্র সংখ্যা ৩০ জন ও শিক্ষক সংখ্যা ৮ জন। প্রতিবছর আব্বাস উদ্দিন ও কছিম উদ্দিনের স্মরণে জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকীসহ জাতীয় দিবসগুলো পালন করা হয়। স্হানীয় শিল্পীদের নিয়ে প্রতি মাসে “দোতরা” নামে ভাওয়াইয়া গানের আসর বসে। প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ভূপতি ভুষন বর্মণ। তিনি বলেন, এই ভাওয়াইয়া একাডেমিতে কছিম উদ্দিন মঞ্চ ও একটা লোকজ যাদুঘর তৈরি করা স্বপ্ন বাস্তবায়নে জন্য কাজ করছেন তাঁরা।
ভাওয়াইয়া যুবরাজ কছিম উদ্দিনের মঞ্চ তৈরিতে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আশা ব্যক্ত করেন উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী ভাওয়াইয়া গান ছড়িয়ে পড়বে সারা পৃথিবীতে।