।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
বর্তমান সময়ে বেড়েছে স্মার্টফোনের ব্যবহার। সেই সাথে অনেক শিশু ও কিশোররা আসক্ত হয়ে পড়েছে মোবাইলের প্রতি। তবে অভিভাবকদের কারণে এই মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে শিশুরা। নিজেদের ব্যস্ততার কারণে অথবা শিশুদের কান্না থামাতে হাতে তুলে দিচ্ছেন মোবাইল। সেটা নিয়ে সময় কাটাতে কাটাতে তাদের মধ্যে এক ধরনের আসক্তি তৈরি হয়। দেখা যায়, স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরেই অনেক শিশু মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক অভিভাবকই বুঝতে পারেন না মোবাইল আসক্তি শিশুদের মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
শিশুদের মোবাইল আসক্তি দূর করতে যে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
➤ অনেক অভিভাবকই আছেন অকারণে শিশুদের সামনে মোবাইল স্ক্রল করেন। অভিভাবকদের এমন আচরণও শিশুদের মোবাইলের প্রতি আগ্রহী করে তোলে। তাই সবার আগে অভিভাবকদের সচেতন হবে হবে। শিশুদের সামনে অযথা মোবাইল চালানো হতে বিরত থাকতে হবে।
➤ অধিকাংশ সময়ই শিশুরা একা থাকে। এ কারণে সময় কাটাতে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মোবাইল, এটি ব্যবহার করতে করতে একটা সময় তারা ভিষণ রকম আসক্ত হয়ে পড়ে। শিশু একাকীত্বে ভুগলে তা বিপদজ্জনক হয়ে উঠবে তার বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে। তাই যতটা সম্ভব শিশুকে সময় দিন।
➤ আজকাল অধিকাংশ শিশুর সময় কাটে বাড়িতে। এ কারণে ভার্চুয়াল জগত তাদের কাছে বেশি গুরুত্ব পায়। তাই সমবয়সীদের সঙ্গে শিশুতে মিশতে শেখান। রোজ নিয়ম করে তাকে মাঠে খেলতে নিয়ে যান।
➤ পড়াশোনার বাইরে খেলাধূলা, গান, ছবি আঁকা, সাঁতার শেখা -এসব কাজে শিশুদের যুক্ত করুন। এসব কর্মকাণ্ড শিশুদের মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখবে।
➤ গাছ লাগানো, কাগজ কেটে হাতের কাজ করা, রং তুলি দিয়ে ছবি আঁকার অভ্যাসে শিশুদের মোবাইলের প্রতি আগ্রহ কমবে। এই ধরনের সৃজনশীল কাজে শিশুকে উৎসাহ দিন।
➤ শিশুরা খাবার খেতে না চাইলে অনেক অভিভাবক ইউটিউবে ভিডিও দেখিয়ে শিশুদের খাবার খাওয়ান। যেটা করা একদম উচিত নয়। কারণ প্রতিনিয়ত খাবার খাওয়া সময় ভিডিও দেখালে একটা সময়পর সেই শিশুরা ভিডিও না দেখতে পেলে খাবার খেতে চায় না। যেটা শিশুর মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
➤ সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় কাটানো আপনার অজান্তেই হতে পারে মানসিক চাপ। এ কারণে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সময় নির্দিষ্ট রাখুন। এতে আপনি ও শিশু দুজনই ভালো থাকবেন।