।। নিউজ ডেস্ক ।।
ঈদ উপলক্ষে বাবার কাছে এক জোড়া নতুন স্কেটিং জুতার বায়না করেছিল স্কুল ছাত্র নাহিদ হাসান (১৪)। কিন্তু অভাবী বাবা আহম্মদ আলী ঠিক সময়ে ছেলের আবদারটি পূরণ করতে পারেনি। ফলে অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সে।
জানা গেছে, মেরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নাহিদ হাসান। রবিবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পৌরসভার উলিপুর কলেজিয়েট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। সে স্কুল সংলগ্ন মুন্সিপাড়া গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে।
নিহতের পিতা আহম্মদ আলী জানান, নাহিদ হাসান চাকা লাগা জুতা (স্কেটিং জুতা) আমার কাছে কিনে চেয়েছিল। একদিকে টাকার অভাব, অন্যদিকে ওই জুতা পরে রাস্তায় চলাচল করলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই আশংকায় জুতা কিনে দেইনি। এতে অভিমানে শনিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরিবার ও এলাকার লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পর গত রবিবার সন্ধ্যায় ওই স্কুলের নতুন ভবনের সিঁড়ির মধ্যে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়।
উলিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে নিহতের বড় ভাই নাসির উদ্দিন (২৩) বেকারত্বের কারণে গত এক সপ্তাহ আগে বাসার শয়ন ঘরে ফাঁস দেয়ার চেষ্টা করলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।
//নিউজ//উলিপুর//মালেক/এপ্রিল/১৭/২৩