।। নিউজ ডেস্ক ।।
আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত সময়ে (১০ দিন) বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের হাওর অঞ্চলের সব ধান ২৫ এপ্রিলের মধ্যে কেটে ফেলার জন্য অনুরোধ জানান আবহাওয়া গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। সেই সাথে সুনামগঞ্জে নদীর পানি ধীরে কমায় ও টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় কৃষক, স্থানীয় প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি অফিস সহ সংশ্লিষ্ট সকলেই উৎকণ্ঠার মধ্যে পড়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- নদীর পানি টইটম্বুর অবস্থার মধ্যেই আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও ভালো খবর নেই। এই অবস্থায় দ্রুত ধান কাটা ছাড়া উপায় নেই।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ৫ দিনে মাত্র ১০০ সেন্টিমিটার কমেছে। রোববার সকাল নয়টায়ও শহরের পাশের ষোলঘর পয়েন্টে পানি ৪.৬৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। হাওরের বিপদসীমার ১৩৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে যাচ্ছে পানি। এর বিপদসীমা ৬.০৫ সেন্টিমিটার। এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাবাসে বলা হয়েছে- ১৮ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন সুনামগঞ্জ ও উজানে বৃষ্টি হবে। ১৭ তারিখে বৃষ্টি বেশি হবে। সিলেট আবহাওয়া অফিস থেকেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।
এই অবস্থায় সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে ৮০ ভাগ পাকা বোরো ধান কেটে ফেলার জন্য জেলার কৃষকদের অনুরোধ জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম।
তবে কৃষকরা বলছেন- ধান এখনও আধাপাকা। কীভাবে কাচা ধান কাটবেন তারা। কিন্তু নদীর পানি ধীরে কমা, অসময়ে নির্মিত দুর্বল বাঁধ দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের।
এদিকে ১৫ এপ্রিল, শনিবার এক ফেসবুক দেওয়া স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান আবহাওয়া গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
মোস্তফা কামাল লিখেছেন, ২৩ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তের পাহাড়ি এলাকায় ১০ দিন বৃষ্টি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের হাওর এলাকায় পাহাড়ি ঢল দেখা দিতে পারে।
এছাড়া ২৩ এপ্রিল থেকে ১০ মের মধ্যে ২টি শক্তিশালী পশ্চিমা লঘু চাপ বাংলাদেশ ও ভারতের ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে। ফলে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়, তীব্র বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।