।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
একের পর এক জেলা, উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের কাজ সমাপ্ত ও উদ্বোধন হলেও চিলমারীতে ভবন নির্মাণে ধীরগতি। ক্ষোভ বাড়ছে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে। চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে ভবনের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো হয়নি দৃশ্যমান। কবে নাগাদ শেষ হবে তা বলতে পারছেনা কর্তৃপক্ষ। দিন যাচ্ছে হতাশার ছায়া ঢেকে নিচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের। নির্মাণের সময় শেষ হলেও এখনো দৃশ্যমান না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দায়ি করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিত দেয়া হচ্ছে জানালেন এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, সারা দেশের ন্যায় চিলমারীতেও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর অধিনে ভবনের ব্যয় ধরা হয় চুক্তিমূল্য ২ কোটি ৮৪ লাখ ১৪ হাজার ২৯০ টাকা। কাজটি পান সনেক্স এন্ড লুৎফর রহমান জেভি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কাজের শুরুর তারিখ ধরা হয় গত বছরের জানুয়ারী মাস এবং সমাপ্তির তারিখ ধরা হয় চলতি বছরের জানুয়ারী মাস। কিন্তু সময় মতো কাজ শুরু না হওয়ায় এবং কাজের ধীরগতির কারণে এখন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের দৃশ্যমান কাজ না হওয়ায় হতাশার সাথে ক্ষোভ বাড়ছে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে।
এদিকে ১ বছর পেড়িয়ে গেলেও সামন্য কাজ হওয়ায় আরো কতদিন লাগবে পুরো কাজ শেষ হতে তা নিয়ে হতাশায় মুক্তিযোদ্ধারা। ক্ষোভের সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রহিম বলেন, আমাদের প্রতি কেন এতো অবহেলা তা আমার বুঝে আসেনা ধীরগতির কারণে কাজের ১০ ভাগও হয়নি। তিনি আরে বলেন, কাজের যা ধীরগতি এতে করে আরো কতদিন লাগবে ভবনের কাজ শেষ হতে আর আমরা এই ভবনের সুফল দেখে যেতে পরবো কি না তা আল্লাহ ভালো জানেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহম্মেদ বলেন, কর্তৃপক্ষ আর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফলতি আর উদাসিনতার কারণে কাজের এই দশা।
উপজেলা প্রকৌশলী ফিরোজুর রহমান জানান, আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, ইতিমধ্যে ঠিকাদান প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ভবনের কাজ শেষ করার জন্য নির্দেশসহ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/এপ্রিল/১৬/২৩