।। নিউজ ডেস্ক ।।
মাইক্রোসফটের অর্থায়নে মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ওপেন এআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)–চালিত চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি প্রযুক্তি–দুনিয়ায় বেশ হইচই ফেলেছে। তাই চ্যাটজিপিটি সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ দিনের পর দিন বাড়ছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) কর্মক্ষেত্রে বা মানব জীবনে কী কী পরিবর্তন আনতে পারে তা নিয়ে একটি ভার্চ্যুয়াল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) আইওটি ক্লাবের উদ্যোগে রোববার (০৯ এপ্রিল) এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে সূচনা বক্তব্য দেন রুয়েটের অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা। আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন যুক্তরাজ্যে কর্মরত তিনজন বাংলাদেশি প্রকৌশলী। তারা হলেন যুক্তরাজ্যের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান এয়ারনাউ পিএলসির ডেটা ইঞ্জিনিয়ার এবং উলিপুর ডট কমের প্রকাশক ও সম্পাদক রূপম রাজ্জাক, ক্লাউড ইঞ্জিনিয়ার আরিফ হোসেন ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ফাইজুর রহমান।
যুক্তরাজ্যের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান এয়ারনাউ পিএলসির ডেটা ইঞ্জিনিয়ার রূপম রাজ্জাক বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির প্রভাব ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। দাপ্তরিক, প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনা-সম্পর্কিত কাজের ক্ষেত্রগুলোয় এটির প্রভাব দেখা যাচ্ছে। কনটেন্ট রাইটিং ও এন্ট্রি লেভেল প্রোগ্রামিংয়ে ক্ষেত্রে প্রভাব সবচেয়ে বেশি। কারণ, একজন জুনিয়র প্রোগ্রামার যেসব কোড তৈরি করেন, সেসব কোড এখন চ্যাটজিপিটি করে দিচ্ছে। ফলে বড় বড় আইটি কোম্পানিতে জুনিয়র প্রোগ্রামার ব্যাপকভাবে দরকার পড়ছে না। তাই প্রোগ্রামিংয়ের চাকরি পেতে হলে আরো বেশি জানতে হবে।
সেমিনারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কম্পিউটিং অবকাঠামো প্রস্তুতি ও ব্যবহারের ধারণা দেন আরিফ হোসেন। ব্যক্তিপর্যায়ে বড় প্রতিষ্ঠানের মতো করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেল প্রস্তুত করা সম্ভব না হলেও প্রুফ অব কনসেপ্ট বা ডেমো বানানো ব্যাপারে জোর দেয়ার কথা জানান তিনি।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ফাইজুর রহমান বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে যেসব পেশার মানুষ চাকরি হারাবেন, তাঁরা আর ওই পেশায় তেমন চাকরি পাবেন না। এ কারণে কিছু মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ ছাড়া উন্নত রাষ্ট্রগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন চিপ তৈরি করে লাভবান হবে। তারা অর্থনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী হবে।