টেলি কনফারেন্স (Tele-conference):
টেলিফোনের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন ভৌগলিক দুরত্বে অবস্থিত কিছু ব্যাক্তির মধ্যে শুধুমাত্র ভয়েস ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে যে সভার আয়োজন করা হয় তাকে টেলি কনফারেন্স বলে। মুলত টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে সভা অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে বলা হয় টেলিকনফারেন্সিং। বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো ব্যক্তিই টেলিফোন মাধ্যম ব্যবহার করে টেলিকনফারেন্স করতে পারে। এই ব্যবস্থায় সভায় অংশগ্রহণকারী কিবোর্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রিয় কম্পিউটারে তাদের বক্তব্য বা জবাব পাঠায়। বিভিন্ন ধরনের টেলিকনফারেন্সিং ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন- পাবলিক কনফারেন্স, ক্লোজড কনফারেন্স এবং রিড অনলি কনফারেন্স। পাবলিক কনফারেন্স সকলের জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ এই কনফারেন্স অংশগ্রহণ করতে পারে। ক্লোজড কনফারেন্স সবার জন্য উন্মুক্ত নয়, পাসওয়ার্ড প্রটেকটেড।
ভিডিও কনফারেন্স (Video conference):
রিমোর্ট লোকেশনে লাইভ (Live) ভিডিও ও অডিও এর মাধ্যমে যোগাযোগ করার এক অত্যাধুনিক পদ্ধতিকে ভিডিও কনফারেন্সিং (Video Conferencing) বলা হয়। ভিডিও কনফারেন্সিং একটি ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক যোগযোগ ব্যবস্থা। এক জায়গা থেকে বা এক দেশ হতে অন্য দেশে যেকোনো ব্যক্তি ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং করতে পারে। এজন্য বিশেষ কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। বড় বড়– বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সাধারণত বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানির তৈরি করা বাণিজ্যিক সফটওয়্যাটসমূহ এই কাজে ব্যবহার করে। তবে সর্বসাধারণের ক্ষেত্রে বিশ্বের বহু দেশের মতো আমাদের দেশের লোকজনও এখন স্কাইপ বা ইয়াহু মেসেঞ্জার ব্যবহার করে খুব সহজেই ভিডিও কনফারেন্সিং করে থাকেন।
টেলি কনফারেন্স এবং ভিডিও কনফারেন্সের মধ্যে পার্থক্যঃ
ভিডিও ও অডিও এর মাধ্যমে যোগাযোগ করার এক অত্যাধুনিক পদ্ধতিকে ভিডিও কনফারেন্সিং (Video Conferencing) বলে। টেলি কনফারেন্স এবং ভিডিও কনফারেন্সের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। টেলিফোনের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন ভৌগলিক দুরত্বে অবস্থিত কিছু ব্যাক্তির মধ্যে শুধুমাত্র ভয়েস ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে যে সভার আয়োজন করা হয় তাকে টেলি কনফারেন্স বলে। অন্যদিকে, রিমোর্ট লোকেশনে লাইভ (Live) ভিডিও ও অডিও এর মাধ্যমে যোগাযোগ করার এক অত্যাধুনিক পদ্ধতিকে ভিডিও কনফারেন্সিং (Video Conferencing) বলা হয়।
২। টেলি কনফারেন্স সভা সমাবেশেগুলো হয়ে থাকে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে যা কথোপকথন এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অন্যদিকে, ভিডিও কনফারেন্স সভা সমাবেশে উপস্থিত লোকজন একে অপরকে স্ক্রিনে দেখতে পারে।
৩। টেলিকনফারেন্সিং এ ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যারগুলো তুলনামূকভাবে কম শক্তিশালী হয়ে থাকে। অন্যদিকে, ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি যন্ত্রপাতি ও শক্তিশালী সফটওয়্যারের প্রয়োজন বেশি।
৪। টেলিকনফারেন্সিং মূলত ব্যবসায়-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেই বেশি ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে ব্যবসায়-বাণিজ্যে, রাজনৈতিক, স্বাস্থ্যখাতের টেলিমেডিসিন সেবায়, শিক্ষাখাতে বেশি ব্যবহৃত।
সূত্র: পার্থক্য