।। নিউজ ডেস্ক ।।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বাজারে গিয়ে যখন মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা, সেই সময়ে সাধারণ মানুষের কাছে ন্যায্য মূল্যে এবং ভর্তুকি দিয়ে দ্রব্যমূল্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে অপ্রতিরোধ্য কুড়িগ্রাম। জেলার তরুণদের নিয়ে গঠিত সামাজিক এই সংগঠনটি ‘ জনতার হাট বাজার’ নামে পাইকারী মূল্যে খুচরা পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। রবিবার (৯ এপ্রিল) কুড়িগ্রাম জেলা শহরের সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে তারা এই আয়োজনের সূচনা করে।
রবিবার (০৯ এপ্রিল) বিকালে শুরু হওয়া জনতার হাট বাজারে গিয়ে দেখা যোয়, সময় গড়ার সাথে সাথে ধীরে ধীরে ক্রেতাদের আগমন ঘটতে শুরু করেছে। দোকানের সামনে থাকা বাজার মূল্য দেখে অনেকে আগ্রহ ভরে জিনিস কিনে নিচ্ছেন। মধ্যবিত্তদের সাথে নিম্নবিত্ত মানুষও ক্রয় মূল্য যাচাই করে জিনিস কিনছেন।
প্রথমিক অবস্থায় জনতার হাটে চাল,ডাল, বোতলজাত সয়াবিন তেল,ছোলা, ডিম,দুধ,চিনি, লবণ, মিস্টি কুমড়া সহ কয়েকটি নিত্যপণ্য বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন বিকাল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত এই বাজার চালু থাকবে। পর্যায়ক্রমে এই পরিসর বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তরা।
জনতার হাট বাজারে পণ্য কিনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে পণ্য বিক্রি করার এই আয়োজন সাধারণ ক্রেতাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে। রুমন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘সত্যিই এটা ভালো উদ্যোগ। শুধু মধ্যবিত্ত নয়, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এটা ভালো উদ্যোগ। এটা চলমান রাখা উচিত।’
উদ্যোক্তারা জানান, সবগুলো পণ্য পাইকারি দামে খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে যাতে সাধারণ মানুষ কিছুটা কম দামে নিত্যপণ্য কিনতে পারেন। এর মধ্যে সয়াবিন তেল ও চিনিতে ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। মোটা চাল বিক্রি করা হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বাজার মূল্য ১৮৭ টাকা হলেও জনতার হাট বাজারে তা ১৮০ টাকা লিটার বিক্রি করা হচ্ছে। একই তেল ৫ লিটারের বাজার মূল্য ৯০৬ টাকা হলেও জনতার হাট বাজারে ভর্তুকি দিয়ে তা ৮৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবে প্রতিটি পণ্য কম দামে বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পায়।
অপ্রতিরোধ্য কুড়িগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার-২০২২ প্রাপ্ত উদ্যোক্তা চৌধুরী তানভীর ইসলাম অন্তু বলেন, নিয়ন্ত্রনহীন দ্রব্যমূল্যের বিপরীতে সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে আমাদের এই আয়োজন। প্রাথমিক ভাবে আমরা কিছু নিত্য পণ্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। রমজানের বাকি দিনগুলো জুড়ে এই আয়োজন থাকবে। ঈদের দুই দিন আগে বাজার মূল্যের চেয়ে অন্তত ৫০ টাকা কম দামে গরুর মাংস বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি সেমাই সহ আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিপত্র বিক্রির ব্যবস্থা নেব।’
//নিউজ//কুড়িগ্রাম//চন্দন/এপ্রিল/১০/২৩