।। নিউজ ডেস্ক ।।
দুই টাকার পেয়াজু-আলুর চপ ও তিন টাকার বেগুনী চপ-ডিমের চপ আর পাঁচ টাকা মাংসের চপসহ সুস্বাদু সব বাহারি ইফতারি বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন কুড়িগ্রাম সদরের আফেলা বেগম। রমজান মাসে প্রতিদিন বিকেল হলেই আফেলা বেগমের দোকানে বিভিন্ন এলাকার লোকজন এসে ভিড় জমায় ইফতার কেনার জন্য।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের গুয়াতি পাড়া-খান পাড়া গ্রামের তিন রাস্তা মোড়ে ৩০ বছর ধরে ছোট্ট একটি টিনের চালা দিয়ে এই দোকানে বাহারি খাবার বিক্রি করেন আফেলা বেগম (৪৫)। তার স্বামী ইলিয়াছ চালাতেন এই দোকান। পাশে একটি স্কুল থাকায় শিক্ষার্থীদের কাছে চকলেট, আচার, পাপর ভাজা, আলুর দম, বাদাম, বিস্কুট বিক্রি করতো ইলিয়াছ মিয়া। আফেলা বেগম স্ত্রী হয়ে আসার পরেই স্বামীর সাথে দোকানে সহযোগিতা শুরু করে। এভাবে দুজনে প্রায় ২০ বছর মিলেমিশে দোকান চালাতো। হঠাৎ স্বামী অসুস্থ্যতার কারণে মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুর ১০ বছর পার হলেও এখনো নিজে দোকানটি আখরে ধরে রেখেছেন। ধীরে ধীরে তার দোকানের পেয়াজু ও চপের সুনাম ও বিক্রি বাড়তে থাকে। এখন পবিত্র রমজান মাসে বেচাকেনা বাড়ায় প্রতিদিন ১ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন। এ দোকানের আয় দিয়ে তার দুই মেয়ের বিবাহ দিয়েছেন। ছেলে সরকারি বালক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। স্কুল বন্ধ থাকলে মায়ের সাথে দোকানে সহযোগিতা করে।
আফেলা বেগম বলেন, আমার স্বামীর ৩০ বছরের ব্যবসা ধরে রেখেছি। আল্লাহর রহমতে আমার দোকানে সারাবছর পেয়াজু, আলুর চপ, বেগুনীর চপ ও ডিমের চপ বিক্রি হয়। এসব ইফতারি আমি নিজেই তৈরি ও বিক্রি করি। রমজান মাসে এখন আরও বেশী চাহিদা বেড়েছে।
এ ব্যাপারে অত্র এলাকার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খোরশেদ আলম আপেল বলেন, আফেলা বেগমের স্বামী ১০ বছর আগে মারা যায়। এরপর ছেলে-মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্ট করে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার লোকজন এসে ইফতারি নিতে আসেন। তার দোকানের জন্য আমাদের গ্রামের নাম এখন শহর জুড়ে। তিনি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা।