।। নিউজ ডেস্ক ।।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বৈকালীন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। এ উপলক্ষে কুড়িগ্রাম ডক্টরস ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, রংপুর বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. এবিএম আবু হানিফ, কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিনহাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রুহুল আমিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর ই মুর্শেদ, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ, বিএমএ’র সভাপতি ডা. নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
সাপ্তাহিক ছুটি ব্যতিত প্রতিদিন বিকাল-৬টা থেকে এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা নির্ধারিত ফি এর বিনিময়ে রোগীদের সেবা দেবেন। প্রথম দিনে এই হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. গোলাম ফারুক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মাইনুদ্দিন, পেড্রিয়াটিক কনসালটেন্ট ডা. আল আমিন মাসুদ, গাইনি কলসালটেন্ট ডা. নাসিমা আখতার ও সার্জারী কনসালটেন্ট ডা. নাসের আল মজুমদার রোগী দেখেন।
মেডিসিন বিভাগ সোমবার ও মঙ্গলবার, হৃদরোগ বিভাগ রবিবার ও বুধবার, গাইনি-অবস বিভাগ সোমবার ও রবিবার, সার্জারি বিভাগ সোমবার ও মঙ্গলবার, অর্থোসার্জারি শনিবার ও বৃহস্পতিবার এবং শিশু বিভাগ রবিবার ও সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ বিকালবেলা ফি এর বিনিময়ে রোগী দেখবেন।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী রোগী প্রতি অধ্যাপক ৫০০ টাকা, সহযোগী অধ্যাপক ৪০০ টাকা ও কনসালটেন্টরা ৩০০ টাকা হারে ফি পাবেন। তবে এ মুহুর্তে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে সর্বোচ্চ জুনিয়র কনসালটেন্ট পদবীর ডাক্তার থাকায় তাদের সেবা পেতে রোগী প্রতি ৩০০টাকা ও মেডিকেল অফিসাররা রোগী প্রতি প্রতি ২০০টাকা হারে ফি গ্রহণ করতে পারবেন। তবে ডাক্তার যেমনই হোক ফি এর মধ্যে ৫০ টাকা চিকিৎসাসেবায় সহায়তাকারী ও ৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাবেন। শুধু রোগী দেখে ব্যবস্থাপত্র নয়, প্রয়োজনে সার্জারী সেবা ও পরীক্ষা নিরীক্ষাও এই কার্যক্রমের অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
প্রথম দিন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীর মুক্তি রানী ও রাজারহাটের বালাকান্দি গ্রামের বিজলী বেগম জানান, অনেক কম খরচে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা সেবা পেয়ে তারা আনন্দিত। এই সেবা যেন চলমান থাকে এই দাবী করেন তারা।
রংপুর বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. এবিএম আবু হানিফ জানান, সরকারের এই নতুন উদ্যোগে চিকিৎসকসহ সবার মতামত রয়েছে। এখন জনগণের সাড়া পাওয়া গেলে এই সেবা আরো বিস্তৃত করা হবে বলেও জানান তিনি।