।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
সুস্থ জীবন পেতে শরীরের পাশাপাশি প্রয়োজন সুস্থ মন। কিন্তু বর্তমান সময়ে মানসিক চাপ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনের টানাপোড়েনে এখন অনেকেই বিষন্নতার শিকার। পারিপার্শ্বিক অবস্থা, দুশ্চিন্তা, ক্লান্তি কিংবা একঘেয়ে জীবনযাপন এখন অনেকেই বিষন্নতার শিকার। দীর্ঘদিন কেউ বিষণ্ণতায় ভুগতে থাকলে, পরবর্তীকালে তা বড় অসুখে পরিণত হতে পারে। তখন সেই মানসিক চাপ মস্তিষ্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে।
প্রায় ২০ বছর ধরে নানা মানসিক সংকটে ভুগেছেন কোলবি কাল্টজেন। ব্রেন ফগ বা মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবে কাজ না করা, মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা, কাজের ‘ফোকাস’ হারিয়ে ফেলা—এ রকম নানা সমস্যায় ভুগেছেন। তার কিছু অভ্যাস তাঁকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করেছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক যেসব স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে বিষন্নতার মতো মানসিক সমস্যা দূর হতে পারেঃ-
➤ সূর্যের আলো মানবদেহে সুখী হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়। ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। যারা বিষন্নতায় আক্রান্ত তাদের জন্য দারুণ কাজ করে এই পদ্ধতি। মেলাটোনিন শরীরে ঘুমের সাইকেল বা চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। মেলাটোনিন হরমোন অন্ধকারে নিঃসৃত হয়। সূর্যাস্তের পরে অন্ধকার নামার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কে মেলাটোনিন হরমোন ক্ষরণ বাড়তে থাকে। আবার, দিনের বেলায় সূর্যের আলোয় মেলাটোনিন ক্ষরণ কমে যায়। ফলে ঘুমের ঘোর কাটে। তাই, মেলাটোনিনের মাত্রা কমাতে কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের আলোয় দাঁড়ান। এতে মেজাজ উন্নত হবে।
➤ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠা শরীরের বায়োলজিক্যাল ক্লক-কে সঠিকভাবে চলতে এবং ভালো ঘুম হতে সাহায্য করবে। এটি বিষন্নতায় ভোগা রোগীদের জন্য সহায়ক হতে পারে।
➤ সকালে নাশতা না করা শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই সকালে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। প্রতিদিন সকালে সুষম খাবার খাওয়া, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরে সারা দিনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি যোগাতে সহায়তা করে।
➤ প্রতিদিন সকালে কিছুক্ষণ শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে সারা দিন মনকে ফোকাস রাখতে, উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
➤ শরীরচর্চা বা ব্যায়াম বিষণ্ণতার চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। কারণ শরীরচর্চা করলে এন্ডোরফিন হরমোন ক্ষরণ হয়, যা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।