।। নিউজ ডেস্ক ।।
মাত্র ৭ বছর বয়সের ছোট শিশু আছিয়া আক্তার। মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী। এই বয়সে যার স্কুলে যাবার কথা, বাড়ির সবার সাথে খেলাধুলা করার কথা। কিন্তু এখন বেশিরভাগ সময় কাটছে তার বিছানায়। প্রাণচঞ্চল ফুটফুটে এই শিশু দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত, ছিদ্র রয়েছে তার হার্টে। তাকে প্রতি মাসে নিয়মিত ঔষধপত্র দিতে হয়। জন্মের পর থেকেই শিশু আছিয়ার চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে সর্বশান্ত দরিদ্র দিনমজুর বাবা মো. শাহীন আলম।
শিশু শিক্ষার্থী মোছা. আছিয়া আক্তার উলিপুরের ধরনিবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ মধুপুর গ্রামের মো. শাহীন আলমের পুত্র। অর্থের অভাবে দরিদ্র পরিবারের শিশুটির চিকিৎসা এখন বন্ধের উপক্রম। মেয়ের হার্টের চিকিৎসা চালানোর কোন কিছু নেই এই হতভাগ্য বাবার। আছিয়াকে নিয়ে কাটছে নির্ঘুম রাত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শিশুটির চিকিৎসার জন্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। তাই দরিদ্র বাবার পক্ষে চিকিৎসার এত ব্যয়বহন করা একেবারেই অসম্ভব।
জানা গেছে, ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখানো হয় শিশু আছিয়াকে। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে শিশুটির হার্টের ছিদ্র ধরা পড়ে। আছিয়ার বাবা শাহীন আলম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি দিনমজুর কোনরকমে সংসার চালাই, আপনারা আমার মেয়েকে বাঁচান। কান্না জড়িত কন্ঠে শিশুটির মা জানান, আমার
অবুঝ শিশুটার জন্য একটু সাহায্য করুন। এরপর কান্নায় ভেঙে পড়েন মা। শিশুটির চিকিৎসার খরচ জোগাতে সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তশালী মানুষের সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
ইতমধ্যে মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রিয়াজুল ইসলাম অসহায় মেধাবী শিশু শিক্ষার্থী আছিয়ার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ৯২ হাজার টাকা সংগ্রহ করে শিশুটির চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের নিকট প্রদান করেন। তাকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান সহ সকলকে সহযোগীতা করার অনুরোধ জানান তিনি।
শিশুটিকে সাহায্য পাঠানোর জন্য সরাসরি পরিবারের সাথে যোগাযোগ- ০১৩০৮১০৮৫৩৫
//নিউজ/উলিপুর//জাহিদ/মার্চ/২৩/২৩