।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যাত্রা শুরুর কাল থেকেই ছিলো ৫০ শয্যা বিশিষ্ট। দুই তলার মাত্র একটি বিল্ডিংয়ে পরিচালনা হতো সকল চিকিৎসা কার্যক্রম। তখন রোগীর চাপ বাড়লে বেড না থাকায় বেশির ভাগ রোগীদের রাখা হত বারান্দায়। পর্যাপ্ত ডাক্তারও ছিলো না ওই সময়, জনবল সংকটের কারণে সঠিক চিকিৎসা পেত না জনসাধারণ। কিন্তু শেষ দুই বছরে পাল্টে গেছে হাসপাতালের চিত্র। এখন দুই বিল্ডিংয়ে পর্যাপ্ত বেডে, দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা সেবা সাথে রয়েছে দক্ষ জনবল। কিন্তু এর উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হোমিও বিভাগে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের এই বিভাগে ২০২১ সালের অক্টোবরে যোগদান করেন ডাঃ কেরামত আলী। যোগদানের পর থেকে তিনি একাই সামলাচ্ছেন গোটা বিভাগ। ওই বিভাগের সমস্ত কিছু করেন তিনি। রোগী দেখা থেকে শুরু করে ঔষধ বিতরণ সব করেন একাই। সহকারী না থাকায় ঔষধ বিতরণে সময় নষ্ট হয় অনেক। এসব বিষয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, যখন যোগদান করি তখন তেমন রোগী পাই নাই। কিন্তু এখন রোগীর চাপ অনেক বেশি প্রতিদিন প্রায় ৫০-৬০ জন রোগী দেখি একাই। সহকারী না থাকায় এদের ঔষধ বিতরণও করতে হয় আমাকে। ঔষধ বিতরণ করতে আমার আলাদা করে আরও বেশ সময় নষ্ট হচ্ছে। যে সময় টা আমি আরও কিছু রোগী দেখতে পারতাম। শুধু রাজিবপুর উপজেলার না এছাড়াও পাশের দেওয়ানগঞ্জ ও রৌমারী উপজেলা থেকেও আমাদের এখানে সেবা নিতে আসেন। যে কারণে চাপটা অনেক অংশেই বেশি। আমাকে একজন সহকারী দেওয়া হলে সেবাগ্রহীতাদেরকে সেবাটা আরও বেশি দিতে পারবো।
সেবাগ্রহীতা রহিজ উদ্দিন ও মেসেরন দম্পতি বলেন, এখন আমাদের বয়স হয়েছে নানা অসুখ বিসুখ আমাদের শরীরে বাসা বেঁধেছে। এর আগে অনেক জায়গার ডাক্তার দেখাইছি অনেক ঔষধ খাইছি কোনো সুফল পাই নাই। একমাস হলো হাসপাতালে এসে হোমিও ঔষধ নিয়া খাইছি এতে অনেক কাজ হয়েছে।
পাশের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হযরত আলী বলেন, আমার ছোট মেয়ের জন্মের পর থেকেই নানা সমস্যা দেখা দেয়। সর্বশেষ রাজিবপুর হাসপাতালে হোমিও ঔষধ খাইয়ে অনেক উপকার পেয়েছি। তবে এখানে একটা সমস্যা লক্ষ করলাম সেটা হচ্ছে যিনি রোগী দেখছেন তিনি নিজেই ঔষধ দিচ্ছেন। এতে করে আমার মনে হচ্ছে ওরতার রোগী দেখতে অসুবিধা হচ্ছে। আমার মতে এখানে একজন সহকারী দিলে তিনি আরও মানুষকে সেবা দিতে পারবে।
এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সারোয়ার জাহানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে এই বিভাগের জন্য একজন হারবাল সহকারী চেয়ে আমাদের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিছি আশা খুব শীগ্রই এই পদটিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।
//নিউজ/রাজিবপুর//সুজন-মাহমুদ/মার্চ/২২/২৩