।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রাম পুলিশ বিভাগের কাছে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হবার পর খোঁজ মিলেছে তার পরিবারের। কিশোরের নাম সজীব কুমার দাস (২০)। সে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মৃত লক্ষণ চন্দ্র দাসের পুত্র। তার জ্যাঠা নগেন চন্দ্র দাস অনলাইন ও ফেসবুকে ভাতিজার ছবি দেখে গাইবান্ধা সাঘাটা থানায় যোগাযোগ করেন। পরে সাঘাটা থানা কুড়িগ্রাম সদর থানায় যোগাযোগ করে পরিচয় নিশ্চিত করে। রোববার (১৯ মার্চ) বিকালে কুড়িগ্রাম সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ শাহরিয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে জ্যাঠা নগেন চন্দ্র দাসের হাতে সজীবকে হস্তান্তর করেন।
শনিবার (১৮ মার্চ) বিকালে স্থানীয় লোকজন কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে বাক প্রতিবন্ধী এবং মানসিক ভারসাম্যহীন ঐ যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখে কুড়িগ্রাম থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানার নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী হেল্প ডেক্স এর তত্ত্বাবধানে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ শাহরিয়ার বলেন, বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় সজীব এর পরিচয় পাওয়া যায়। পরে অফিসার ইনচার্জ সাঘাটা থানা গাইবান্ধা এর সহযোগিতায় তার প্রকৃত ঠিকানা সনাক্ত করা হয়। পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায় উদ্ধারকৃত যুবকের নাম-সজীব কুমার দাস, বয়স ২০ বছর । নিজ জেলা গাইবান্ধা। তার পিতা গতবছর বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করেছেন। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট থানার সহায়তায় তার পরিচয় নিশ্চিত হলে তার জ্যাঠা নগেন চন্দ্র দাস, পিতা-মৃত নোবাই চন্দ্র দাস তাকে নিতে আসে। কুড়িগ্রাম থানার সাধারণ ডায়েরি নম্বর-১০৮৩, তারিখ -১৯ /০৩/২০২৩ ইং মূলে যুবক সজীবকে জ্যাঠার জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়।