।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই শুরু হয় ইঁদুরদৌড়। ঘরের কাজ শেষ করে অফিসে দৌড়। সেখানে গিয়েও কাজ আর কাজ। কম্পিউটার বা টেবিলের সামনে দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসেই কাটাতে হয় অনেককে। এর ফলে একটা সময় পিঠে, কাঁধে ব্যথার সৃষ্টি। অনেক সময় আবার একটানা টিভি দেখতে গিয়ে বা ঘুম থেকে উঠে ঘাড় ঘোরাতে গেলেও কারও কারও তীব্র যন্ত্রণা হয়। এই সব উপসর্গ দেখলেই বুঝতে হবে শরীরে স্পন্ডিলাইটিস দেখা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময় মতো চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে এই অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এই অসুখে আক্রান্ত হলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি ব্যায়ামও করতে হবে। অনেকের ক্ষেত্রে ব্যথা কাঁধ থেকে পিঠ, কোমর এমনকি, হাত পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। স্পাইনাল কর্ডের উপরেও চাপ ফেলে এই অসুখ। কেবল ঘাড়ে ব্যথাই নয়, ব্যথার অংশ অবশ হয়ে যাওয়া, সুচ ফোটানোর মতো তীব্র যন্ত্রণাও এই অসুখের লক্ষণ। এই অসুখে আক্রান্ত হলে অনেকের আবার মাথাও ঘোরে। তবে ব্যথার হাত থেকে বাঁচতে শুধু ওষুধ খেলেই হবে না, কিছু অভ্যাসও মেনে চলতে হবে।
ব্যথা কমাতে যা করবেন-
আপনি কি ঘুম থেকে উঠেই কোনো রকমে তৈরি হয়ে অফিসের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন? এ ধরনের অভ্যাস থাকলে আপনার পিঠের ব্যথা কমা খুবই কঠিন। সুস্থ থাকতে চাইলে ভোর ভোর ঘুম থেকে উঠুন। শরীরচর্চায় মন দিন। নিয়মিত স্ট্রেচিংয়ে দেখবেন আপনার ব্যথা অনেকটা কমে গেছে।
ব্যায়াম করে অফিসে পৌঁছালেন ঠিকই। সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য অফিসে গিয়েও কিছু নিয়ম আপনাকে মেনে চলতেই হবে। কাজের চাপ যতই থাকুক না কেন একভাবে চেয়ারে বসে কাজ নৈব নৈব চ! মাঝে মাঝে অফিসের ভিতরে হাঁটুন। পারলে সিঁড়ি দিয়ে বারবার ওঠানামা করুন। চেয়ারে বসার সময় যতটা সম্ভব সোজা হয়ে থাকার চেষ্টা করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। শরীরচর্চা ও যোগব্যায়াম করেও এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই অসুখ সামলাতে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম বিশেষ করে কিছু স্ট্রেচিং আছে। মাংসপেশিকে শক্ত রাখার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ব্যায়াম করুন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে রোগীকে বেল্ট, কলার বা বিশেষ ট্রাকশন নেওয়ার ব্যায়াম দেওয়া হয়।