।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
শরীর সুস্থ রাখতে নিয়ম করে খাওয়া-দাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং নিয়ম করে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কাজের ব্যস্ততায় খাওয়ার কথা মনে থাকে না অনেকেরই। এ ছাড়া ওজন কমাতে অনেকেই কড়া ডায়েট করেন। ফলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে শরীর স্ফূর্তির অভাব ঘটে। কিছু নিয়ম চললে আগে থেকেই সচেতন হওয়া সম্ভব।
শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি না পেলে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়-
সারাক্ষণ মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা: সারাদিন অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় হয়তো দীর্ঘক্ষণ খাওয়া হয়নি। বাড়ি ফিরেই পাউরুটি, পিৎজা, অনেকটা ভাত রুটি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যায়? কম খাবার গেলে শরীরে ঠিক মতো স্ফূর্তি থাকে না। তাই কার্বহাইড্রেট বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খোঁজে শরীর। কারণ, এগুলো খেলে চট করে এনার্জি পায় শরীর। তাই যদি খুব বেশি এমন প্রবণতা দেখেন তাহলে বুঝতে হবে পেট ভরে খাচ্ছেন না।
রক্তচাপের মাত্রা কমে যাওয়া: রক্তচাপ যদি হঠাৎ করে কমে যায়, অনেকে সেটাকে ডায়াবেটিস বলে ভুল করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলেও এমন হতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিন সকাল থেকে অনেক বেলা পর্যন্ত না খেয়ে থাকেন, তা হলে শরীর দুর্বল হওয়াটা স্বাভাবিক। এতে শরীরে হরমোনের তারতম্য হতে পারে।
চুল পড়া : নানা রকম শারীরিক সমস্যারর ক্ষেত্রে চুল ঝরা একটি সাধারণ উপসর্গ। ঠিক করে খাওয়া দাওয়া না করলে এবং শরীরে যদি পর্যাপ্ত প্রোটিন না যায়, তা হলেও চুল পড়তে পারে। যদি দেখেন যে শরীর অন্য সে রকম কোনও অসুস্থতার লক্ষণ নেই, শুধুই চুল পড়ছে, তা হলে বুঝতে হবে অপুষ্টির জন্যই এমন হচ্ছে।
কোষ্ঠকাঠিন্য: অনেক সময় নানা রকম ডায়েট করতে গিয়ে কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলা হয়। কিংবা অজান্তেই হয়তো খাবারে ফাইবারের পরিমাণ কম হয়। তাতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই শরীরে ঠিক মতো খাবার যাচ্ছে না, তা টের পাবেন যদি মলত্যাগ করতে কষ্ট হয়।