।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
দুধ শরীরে জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাাদান, প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে এর বিকল্প নেই। ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন অন্তত একগ্লাস দুধ পান করা জরুরি। হাড় আর দাঁতের পাশাপাশি শরীরের সার্বিক ভালো থাকার জন্যও দুধ খুব উপকারী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে ঠান্ডা দুধ পান করা ভালো। আবার রাতে ঠান্ডা দুধ পান করলে হজমে সমস্যা হতে পারে। অ্যাসিডও হতে পারে। সঙ্গে শীতে বা ঋতু বদলের সময় ঠান্ডা দুধ এড়িয়ে যাওয়া উচিত, কারণ এর থেকে ফ্লু-এর সংক্রমণ হতে পারে
দুধ ঠান্ডা বা গরম, দুই ভাবেই পান করার নানান সুবিধা রয়েছে। তাই কোন উপায়ে দুধ খাওয়া উচিত তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
➤ যদি স্লিপ অ্যাপনিয়া থাকে তবে আপনি ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করতে পারেন।
➤ দুধে থাকা ট্রিপটোফান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড যা সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন নামে একটি রাসায়নিক তৈরি করে, যা আরও ভাল ঘুম হতে সহায়তা করে।
➤ গরম দুধ সহজে হজম হয়। আর যাঁদের ল্যাকটোজ হজম করায় সমস্যা রয়েছে তাঁদের পক্ষে ঠান্ডা দুধ পান করলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
➤ ঠান্ডা দুধ পানের ফলে শরীরে জলের অভাব পূরণ হয়। তবে যদি জ্বর- সর্দি-কাশির মত সমস্যা থাকে তবে ঠান্ডা দুধ পান করা এড়িয়ে চলুন।
➤ খাওয়ার পরে হাফ গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। অম্লতাজনিত জ্বালা থেকে মুক্তি দিতে কার্যকর ঠাণ্ডা দুধ।
➤ উপকার পেতে হয় উষ্ণ দুধ পান করুন অথবা ঘরের তাপমাত্রায় থাকা ঠাণ্ডা দুধ পান করুন। ফ্রিজ থেকে বার করেই ঠাণ্ডা দুধ পান করা উচিত নয়।
➤ ওজন কমাতে চাইলে দুধের সঙ্গে চিনি বা কোনও বাজারজাত পণ্য মেশাবেন না। তার পরিবর্তে দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এটি বিপাকক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে।