।। টেক ডেস্ক ।।
অনেকেই আছেন যারা স্মার্টফোন ছাড়া এক মুহূর্তও কল্পনা করতে পারেন না। দিনের বেশির ভাগ সময় কেটে যায় ফোনের স্ক্রিনে। তবে অধিক ফোন ব্যবহারের সময় চোখের সুরক্ষার কথা আমরা অনেকেই ভুলে যাই। দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকতে থাকতে অনেকের চোখ দিয়ে পানি ঝরে বা ব্যথা অনুভব হয়। আবার স্মার্টফোনের ব্যবহারের জন্য মাত্র ৩০ বছর বয়সেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলছেন অনেকেই। তবে স্মার্টফোনের জন্য চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, এ ধরনের আশঙ্কা সাধারণত দেখা যায় না। কিন্তু টানা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার এবং নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে চোখের ক্ষতি হতে পারে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, যেসব উপায় অবলম্বন করে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে চোখ সুরক্ষিত থাকবে।
স্মার্টফোনের ডার্ক চালু রাখুন। সেটিংস থেকে ডার্ক মোড চালু করা যায়। এ মোডে স্মার্টফোনের পর্দার পটভূমি কালো রঙের হয় এবং লেখা সাদা রঙে দেখা যায়। ডার্ক মোড ব্যবহার করলে নীল আলোর নিঃসরণ কম হতে পারে। সেটিংস থেকে ডার্ক মোড চালু করা যায়।
অনেক বেশি উজ্জ্বল কিংবা একেবারেই অনুজ্জ্বল পর্দা (ডিসপ্লে) এবং এর বৈপরীত্য কোনোটাই চোখের জন্য ভালো নয়। এগুলোর সামঞ্জস্যতা রাখতে হবে। যন্ত্রের নির্ধারিত (বিল্টইন) উজ্জ্বলতা সেটিংস ব্যবহারই এ ক্ষেত্রে উত্তম।
আপনার স্মার্টফোনের উজ্জ্বলতা একেবারে কমিয়েও দিবেন না আবার অতিরিক্ত উজ্জ্বলও রাখবেন না। কারণ অতিরিক্ত উজ্জ্বলতা কিংবা অনুজ্জ্বল কোনোটাই চোখের জন্য ভালো নয়। এ মোডে স্মার্টফোনের পর্দার পটভূমি কালো রঙের হয় এবং লেখা সাদা রঙে দেখা যায়। ডার্ক মোড ব্যবহার করলে নীল আলোর নিঃসরণ কম হতে পারে। সেটিংস থেকে ডার্ক মোড চালু করা যায়। তবে রাতের বেলায় আপনার স্মার্টফোনের উজ্জ্বলতা একেবারেই কমিয়ে দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
স্মার্টফোন ব্যবহার করার সময় দীর্ঘক্ষণ এক নজরে তাকানো থেকে বিরত থাকুন। চোখের সুরক্ষরার জন্য স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় প্রতি আধা ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ বার চোখ বুলিয়ে নিন। প্রতিবার ১ সেকেন্ড সময় ধরে পলক ফেলুন।
স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য ২০/২০/২০ নামে একটি নিয়ম রয়েছে। এর মানে হলো, প্রতি ২০ মিনিটে আপনাকে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য অন্তত ২০ ফুট দূরের কিছু দেখতে হবে। এটি আপনার চোখ সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে।
যন্ত্রের পর্দায় কাটানো সময় বা স্ক্রিনটাইম নির্ধারণ করার মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএসের সেটিংস থেকে এটি ঠিক করা যায়।
প্রতিনিয়তই স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে এর পর্দাও নোংরা হয় অনেক বেশি। ফলে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও চলে আসে। এ ছাড়া অপরিচ্ছন্ন পর্দা আমাদের চোখের ওপর চাপ ফেলে। পর্দা পরিষ্কারের সময় নরম বা মাইক্রো ফাইবার কাপড় ব্যবহার করতে হবে।