।। জেলা প্রতিনিধি ।।
পেশায় স্কুল শিক্ষক, শিক্ষকতা করেন কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে। শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক এই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ ছিল আগে থেকেই। তার মাদক সেবনের বিষয়টি এলাকায় অনেকেরই জানা। এবার সেই শিক্ষক ইয়াবা আনতে গিয়ে লালমনিরহাটে এক মাদক ব্যবসায়ীসহ গ্রেফতার হয়েছেন। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার চরকুলাঘাট এলাকায় পূর্ব সীমান্ত বাজারে ওই শিক্ষককে তার এক সহযোগীসহ গ্রেফতার করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, লালমনিরহাটের উপপরিদর্শক আল আমিন হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার শিক্ষকের নাম আবু সুফিয়ান (৪৭)। তিনি কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের নেফার দরগা গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে। গ্রেফতার অপর সহযোগীর নাম আব্দুল জলিল (৪২)। তিনি একই ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে। জলিলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার চরকুলাঘাট এলাকায় পূর্ব সীমান্ত বাজারে লালমনিরহাট-ফুলবাড়ী সড়কে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, লালমনিরহাট জেলা কার্যালয়ের একটি দল অবস্থান নেয়। এ সময় ফুলবাড়ী থেকে মোটরসাইকেল যোগে আসা শিক্ষক আবু সুফিয়ান ও আব্দুল জলিলের গতি রোধ করার চেষ্টা করে অভিযানকারী দলটি। চালকের আসনে থাকা আবু সুফিয়ান অভিযান দলের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ গজ দূরে একটি কাঁচা সড়কে মোটরসাইকেল থেকে দু’জনে পড়ে যান। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দলটি দ্রুত তাদের আটক করে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের উপস্থিতিতে তাদের তল্লাশী করে উভয়ের কাছ থেকে ৪৮ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে। মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে আবু সুফিয়ান ও আব্দুল জলিল আহত হওয়ায় তাদেরকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে আবু সুফিয়ানের বাম পা ভেঙে যাওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, লালমনিরহাটের উপপরিদর্শক আল আমিন হোসেন বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন।
উপপরিদর্শক আল আমিন হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আব্দুল জলিলকে গত শনিবারই থানায় সোপর্দ করা হয়। আর আবু সুফিয়ানকে চিকিৎসা শেষে রবিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। দুই আসামি বর্তমানে লালমনিরহাট জেলা কারাগারে রয়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে সারডোব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলে রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। মামলার নথিপত্র পেলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//চন্দন/ফেব্রুয়ারি/২৮/২৩