।। নিউজ ডেস্ক ।।
রৌমারীতে পরকিয়ার জেরে স্বামী সুমন মিয়াকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সোমা আক্তার সুমি (১৯) নামের এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। বুধবার (ফেব্রুয়ারি ২২) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (ফেব্রুয়ারি ২৩) দুপুরে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ এবং গৃহবধূ সোমা আক্তার সুমিকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে রৌমারী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোতালেব হোসেন বাদি হয়ে রৌমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রৌমারী থানার ওসি রুপ কুমার সরকার বলেন, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি পরকিয়ার জেরে হত্যাকান্ডের ঘটনা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহতের বাবা মোতালেব হোসেনের দাখিল করা অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত সুমন মিয়া (২২) উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি গ্রামের মোতালেব হোসেনের পুত্র।
পুলিশ প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে সুমন মিয়ার (২২) সাথে একই ইউনিয়নের কলাবাড়ি গ্রামের শুকুর আলী মেয়ে সোমা আক্তার সুমির (১৯) ৪ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পরকিয়ার জেরে তাদের দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বুধবার রাতে তাদের ঝগড়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে গভীর রাতে স্বামী সুমন মিয়াকে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের বাবা মোতালেব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে তাঁর ছেলের মোবাইল দিয়ে অন্য ছেলের সাথে প্রেম করে আসছিলেন সোমা আক্তার সুমি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া-ঝাটি লেগেই থাকতো। বিষয়টি তাঁর ছেলে স্ত্রীর পরিবারকে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার মধ্যরাতে তাঁর ছেলের স্ত্রী সোমা আক্তার সুমি পরিকল্পিতভাবে সুমন মিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এর সঙ্গে আরো কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে তার ধারণা। দ্রুততম সময়ে সকল অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।