।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
আমাদের দেশে বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা খুবই প্রচলিত একটি সমস্যা। নানা কারণে এ ধরনের ব্যথা হয়ে থাকে। বিশেষত, হাঁটু যন্ত্রণা হচ্ছে অনেকের। আর সেই ব্যথায় জীবনযাত্রায় ঘটছে ব্যঘাত। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, ওজন বেশি থাকলে শরীরের ভার এসে হাঁটুর উপর পড়ে। তখন ব্যথা বেড়ে যায়। অনেকের আবার একটা বয়সের পর হাড়ের ক্ষয় হয়। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে এই সমস্যা থাকে বেশি। এ কারণে তারাই হাঁটুর ব্যথায় বেশি ভোগেন। তাই সতর্ক থাকাটা সবার আগে জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগ নিয়ন্ত্রণ না করলে কারও কারও অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন পড়ে। কয়েকটি টিপস মেনে চললে ঘরোয়া উপায়েই এই ব্যথা কমানো যায়। এমনকী ওষুধের প্রয়োজন পড়েই না।
➤ বেশি নয়, মাত্র ১০ শতাংশ ওজন কমালেই আর্থরাইটিসের ব্যথা হাতের মুঠোয় রাখা সম্ভব। হাঁটুর উপর দাঁড়িয়ে থাকে শরীর। ফলে শরীরের ওজন যদি বেশি হয়, বাড়তি ভার সইতে হয় হাঁটুকেই। আর্থরাইটিসের আশঙ্কা এতে বাড়ে, সেই সঙ্গে ওষুধ খেয়েও কমতে চায় না ব্যথা। তাই আর্থরাইটিস ধরা পড়লে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
➤ প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করতে হবে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ অব রিউম্যাটোলিজ অ্যান্ড দ্য আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন জানাচ্ছে, কয়েকটি ব্যায়ামেই কমতে পারে ব্যথা। এক্ষেত্রে হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার, যোগব্যায়াম কার্যকরী হতে পারে। সবারই দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম হাঁটা প্রয়োজন।
➤ পেশি সচল রাখতেও ওজন কমানো প্রয়োজন। বেশি ওজন হলে শরীরে পেশি তার নিজস্ব স্থিতিস্থাপকতা হারায়। ফলে ব্যথা বেশি হয়। আর্থরাইটিসের ক্ষেত্রে পেশি সচল রাখা জরুরি।
➤ বাইরের খাবার খাওয়া যাবে না। ফ্যাট জাতীয় সব ধরনের খাবার এড়িয়ে যান। বরং সবজি, ফল খেতে পারেন। এসব খাবারে থাকা ফাইবার শরীর সুস্থ রাখে। অনেক রোগ থেকেও দূরে থাকা যায়।
➤ মনে রাখবেন, এই ধরনের ব্যায়ামের ক্ষেত্রে স্ট্রেচিং কার্যকরী হতে পারে। রোজ পায়ের স্ট্রেচিং করুন। দেখবেন ব্যথা সহজেই দূর করা সম্ভব হচ্ছে। তাই দুশ্চিন্তা না করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।