।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
রৌমারীতে নিখোঁজের দুদিন পর রেখা খাতুনের (২২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই তরুণী। পুলিশের দাবি, ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে রৌমারী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে এজাহার দায়ের করেছেন। নিহতের পরিবারের দাবি, রেখা খাতুনকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে বন্দবেড় ইউনিয়নের ফলুয়ারচর নামক এলাকার ব্রহ্মপুত্র চরের গম ক্ষেত থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রেখা খাতুন উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের আবুল হাশেমের মেয়ে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে মা হাফিজার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন চেয়ে নেন রেখা খাতুন। এরপর থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সোমবার সকাল ১১টার দিকে পরিবার জানতে পায় ব্রহ্মপুত্রের চরে গম ক্ষেতে গলায় ওড়না প্যাঁচানো এক তরুণীর মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে নিহতের ছোট ভাই উমর ফারুক ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর বোন বলে শনাক্ত করে। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ।
নিহত তরুণীর বাবা আবুল হাশেম বলেন, ‘যারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে, দ্রুত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।’
এ বিষয়ে বন্দবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ‘লোক মারফত খবর পেয়ে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।’
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে এজাহার দায়ের করেছেন।’
ওসি আরও বলেন, ‘ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করলে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকৃত হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
//নিউজ/রৌমারী//আলতাফ/ফেব্রুয়ারি/০৬/২৩