।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
ব্রহ্মপুত্র কখনো উত্তাল আবার কখনো হারিয়ে ফেলে নাব্যতা। কখনো ভাসিয়ে নেয় নৌকা, আবার কখনো আটকে যায় বালুর চরে। মৌসুমে মৌসুমে রুপ বদলায় এই ব্রহ্মপুত্র। কখনো দুর্ভোগ হয়ে দাঁড়ায় আবার কখনো দেয় সফলতার সুখ। সেই সাথে চলতি মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা অস্বাভাবিক ভাবে হ্রাস পাওয়ায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর জেলার কয়েকটি উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক নৌ-পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে করে নৌপথে চলাচলকারী মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি যোগ হয়েছে চরম ভোগান্তির, সময়ও লাগছে দ্বিগুন।
চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর, উলিপুর ও কুড়িগ্রাম সদর, গাইবান্ধা, ফুলছড়ি, জামালপুরের ইসলামপুর, ও দেওয়ানগঞ্জ, উপজেলার সাথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম নৌ-পথ। কিন্তু চলতি বছর পানি কমার সাথে সাথে এক হাজারেরও অধিক বালুচর জেগে ওঠায় বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় অর্ধশতাধিক নৌ-রুট। চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর, কুড়িগ্রাম সদর, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জেরসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক নৌ-পথ ঘাট সম্পূর্ন ভাবে বন্ধ হয়ে পরেছে। এতে করে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগের ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
নৌ-ঘাট ইজারদার শহিদুল্লাহ কায়ছার জানান, লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে লিজ নেওয়া হয় ঘাট গুলো, বছরের কয়েকমাস নাব্যতা সংকটের কারণে নৌকা চলাচল সমস্যা সৃষ্টি হয়, ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে চলতি মৌসুমে। তিনি আরো জানান, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ঘাট নেয়া হলেও কর্তৃপক্ষ ড্রেজিং না করায় সমস্যা দিন দিন বাড়ছে।
নৌ-ব্যবসায়ী সুজন জানান, নৌকার উপরে তার সংসারের ব্যয় নির্ভর করতে হয়। কিন্তু তার বড় নৌকা চলার মতো পর্যাপ্ত পানি না থাকায় নৌকা চালানো যাচ্ছেনা। এতে করে বন্ধ হয়েছে তার আয়ের পথ।
চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান মোঃ রুকুনুজ্জামান শাহীন বলেন, চিলমারী, নৌ-বন্দর, ফুলুয়া চর ঘাট, ব্যপারীর ঘাট, রাজিবপুর নৌঘাট এর চ্যানেল রুট পরিবর্তন হয়ে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, এতে স্থানীয় নৌ-রুট সংশ্লিষ্টদের রুজি রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। যাত্রীরা পরেছে ভোগান্তিতে। আর যে কয়টি রুট চালু আছে সে পথ দিয়েও নৌকা চলাচল করছে দ্বিগুন-তিনগুন বেশি পথ ঘুরে ঘুরে।
এদিকে নৌ-ঘাট গুলো দুর-দুরান্তে সরে যাওয়ায় যাত্রীদের ১ থেকে ৩ কিলোমিটর পর্যন্ত পায়ে হেঁটে ঘাটে যেতে হচ্ছে এতে করে দুর্ভোগ এখন চরমে উঠেছে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/ফেব্রুয়ারি/০৫/২৩