।। রাজধানী ডেস্ক ।।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) উদ্যোগে ঢাকায় দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হতে যাচ্ছে ‘বাজুস ফেয়ার-২০২৩’। আগামী ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী এ মেলাটি রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ৪ নম্বর নবরাত্রি হলে অনুষ্ঠিত হবে। মেলাটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে বাজুস কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটির অন ফেয়ার অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান উত্তম বণিক লিখিত বক্তব্যে বলেন, দেশের অর্থনীতিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখা বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের সবচেয়ে বড় আয়োজন দ্বিতীয় বাজুস ফেয়ার-২০২৩ আগামী ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) হল নং-৪, নবরাত্রিতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাজুস ফেয়ার ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
তিনি আরো জানান, বাজুস ফেয়ারে প্রবেশ টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকিট লাগবে না। বাজুস ফেয়ারে ক্রেতাদের জন্য র্যাফেল ড্র’র ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্রেতারা যে প্রতিষ্ঠানের অলঙ্কার ক্রয় করবেন, সেই প্রতিষ্ঠান থেকেই র্যাফেল ড্র’র কুপন সংগ্রহ করবেন। এছাড়াও জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে বিশেষ অফার দিচ্ছে।
বাজুস ফেয়ার ২০২৩ দেশীয় জুয়েলারি শিল্পকে সমৃদ্ধশালী করার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে একটি নতুন অবস্থান তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে বাজুস। দেশের স্বর্ণ শিল্পীদের হাতে গড়া নিত্য নতুন আধুনিক ডিজাইনের অলঙ্কারের পরিচিতি বাড়বে।
এবার বাজুস ফেয়ারে ৮টি প্যাভিলিয়ন, ১২টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৩০টি স্টলে দেশের ঐতিহ্যবাহী ৫০টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে।
বাজুস ফেয়ার- ২০২৩ এ প্যাভিলিয়নে অংশ নেওয়া ৮টি প্রতিষ্ঠান হলো- আমিন জুয়েলার্স লিমিটেড, আপন জুয়েলার্স, অলংকার নিকেতন (প্রা.) লিমিটেড, কুঞ্জ জুয়েলার্স, রয়েল মালাবার জুয়েলার্স (বিডি) লি., ভেনাস জুয়েলার্স লিমিটেড, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেড এবং জড়োয়া হাউজ (প্রা.) লিমিটেড।
মিনি প্যাভিলিয়নে অংশ নেওয়া ১২টি প্রতিষ্ঠান হলো- ভিনায়েক গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড, গোল্ডেন ওয়ার্ল্ড, গৌরব জুয়েলার্স, নিউ ফেন্সী জুয়েলার্স, দি পার্ল ওয়েসিস জুয়েলার্স, জায়া গোল্ড, জারা গোল্ড, আলভী জুয়েলার্স, রিজভী জুয়েলার্স, রয়েল ডায়মন্ড, ড্রিমজ ইন্সট্রুমেন্ট টেকনোলজি এবং রাজ ঐশ্বরী গোল্ড।
স্টলে অংশ নেওয়া ৩০টি প্রতিষ্ঠান হলো- এল কে জুয়েলার্স, চৌধুরী গোল্ড, গীতাঞ্জলী জুয়েলার্স, রিয়া জুয়েলার্স, আনন্দ জুয়েলার্স, ডায়মন্ড হাউজ, আফতাব জুয়েলার্স, ফারিহা জুয়েলার্স, আই. কে জুয়েলার্স লিমিটেড, রজনীগন্ধা জুয়েলার্স লিমিটেড, সুলতানা জুয়েলার্স (প্রা.) লিমিটেড, নিবিড় জুয়েলার্স, সিরাজ জুয়েলার্স, ডায়মন্ড বাজার অ্যান্ড গোল্ড, অনন্যা জুয়েলার্স, ডায়া গোল্ড এন্ড ডায়মন্ড, ডি. ডামাস দি আর্ট অব জুয়েলারী, ডি. ডায়মন্ড, কুইন পার্ল হাউজ, নিউ বসুন্ধরা জুয়েলার্স, সোল জেমস এন্ড ডায়মন্ড, পলাশ জুয়েলার্স, ক্লাসিক গোল্ড এন্ড ডায়মন্ড জুয়েলারী, ডায়মন্ড কর্ণার, গোল্ড কিং জুয়েলার্স, দি সোনারগাঁ জুয়েলার্স, মনিমালা জুয়েলার্স, আর এন মাইক্রোটেক, বাংলাদেশ ডাইস হাউজ এবং এসজিএল ল্যাব বাংলাদেশ লিমিটেড।