।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
কান চুলকালে বা সুরসুর করলে অনেকে কটন বাড, সেফটিপিন বা কাঠি দিয়ে কানের ভিতরে ঘোরানো শুরু করেন। আরামের জন্য দাম দিয়ে ক্ষণিকের যে কটন বাডস কিনে কানের ভিতরে দিলেন তা আসলে কানের পর্দার ক্ষতির অন্যতম কারণ। অসাবধানতায় কানের ভেতর অধিক খোঁচাখুঁচিতে বিপদ হতে পারে। এগুলো থেকে সংক্রমণও ছড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কানের ময়লা বা খোলেরও উপকারিতা আছে। কাজেই তাকেও টেনেটুনে বাইরে নিয়ে আসার খুব একটা দরকার নেই। খুব প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের দেখানো পথেই কান পরিষ্কার রাখা উচিত। কটন বাডের তুলো অসাবধানতায় কানে ঢুকে গিয়ে মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে। কটন বাডসের খোঁচা কানের অডিটরি লোবকে উত্তেজিত করে। কানের তরুণাস্থি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে শ্রবণশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেক সময়ই অস্ত্রোপচারের সাহায্য নিতে হয় এমন বিপদে।
আসলে যা ঘটে
➤ কটন বাড ব্যবহারের ফলে কানের ভেতরের ময়লা যতটা না বের হয়, তারও চেয়ে বেশি ভেতরে ঢুকে যায়।
➤ অনেক ক্ষেত্রে এসব ময়লা কানের পর্দার কাছাকাছি বা পর্দার ওপর স্তর আকারে জমে যায়। তখন সেই ময়লা কানের পর্দায় ব্লক হয়ে যায়, যাকে বলে ইম্প্যাক্টেড ওয়াক্স।
➤ বহুদিন ধরে কটন বাড ব্যবহার করলে ছত্রাক সংক্রমণও হতে পারে। তখন আঘাত লাগলে কানের পর্দা দ্রুত ফেটে যাওয়া বা কানের হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
➤ এক পর্যায়ে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে; হারিয়ে যেতে পারে দেহের ভারসাম্যও।
➤ কানের ভেতরের সূক্ষ্ম চামড়ায় নানা সমস্যা তৈরি ও ব্যথার কারণ এই কটন বাড।
➤ কটন বাডের তুলার কিছু অংশ কানে রয়ে গিয়ে আরো বিপদ বাড়াতে পারে।
কান কি পরিষ্কার করা উচিত?
কান খুঁচিয়ে পরিষ্কারের কোনো প্রয়োজনই নেই। প্রাকৃতিকভাবেই কানের ময়লা বেরিয়ে আসে। কানের সামনের দিকে যেসব ময়লা থাকে, সেগুলো কটন বাড দিয়ে পরিষ্কার করা হয়তো সম্ভব; কিন্তু ভেতরের ময়লা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। একান্তই কোনো কারণে কানের ময়লা পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়লে সে কাজটি ইএনটি চিকিৎসকরাই করবেন। তাই কানের সুস্থতার জন্য আজই ছাড়ুন কটন বাড।
বেশি চুলকালে কী করণীয়?
কান বেশি চুলকাচ্ছে মনে হলে অলিভ অয়েল, বেবি অয়েল, মিনারেল অয়েল, গ্লিসারিন—এসবের কোনো একটির কয়েক ফোঁটা কানে দিতে পারেন। ময়লা নরম হয়ে আপনা আপনিই তা বের হয়ে আসবে।