।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে চাঞ্চল্যকর অটো চালক হত্যার ২৪ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন সহ আলামত উদ্ধার করে হত্যার সাথে জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ধরনীবাড়ি তেলীপাড়া এলাকার অটোচালক রফিকুল ইসলাম(৩২) ১৯ জানুয়ারি দুপুরে গুনাইগাছ আমিন মোড়ে “আশা এনজিও” থেকে লোনের ৫০ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। বিকেলে লোনের টাকা উত্তোলন করে তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে উলিপুর বাজারে ডেকে নেয়। তখন তার স্ত্রী তার কাছ থেকে স্টিলের বাক্স কিনে চাইলে, তিনি প্রতিবেশী ধরনীবাড়ি তেলীপাড়ার অভিযুক্ত মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩৫) স্টিলের বাক্স কিনতে নিষেধ করেন। অতঃপর ভিকটিম রফিকুল ইসলাম তার স্ত্রীকে সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে ভিকটিম রফিকুল ইসলাম প্রতিবেশী অভিযুক্ত মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে চলে যায়। এ সময় ভিকটিম রফিকুল ইসলামের নিকট লোনের ৫০ হাজার টাকাসহ অটো বিক্রির টাকা ছিল। ভিকটিম রফিকুল ইসলাম বাড়িতে ফিরে না আসায় তাকে তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে ২০ জানুয়ারি ভোরে ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ধরণীবাড়ী তেলীপাড়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির পুকুরের পাড়ে কাঁচা রাস্তার উপর ভিকটিম রফিকুল ইসলামকে গলা কাটা অবস্থায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে খবর দেয়। এ ঘটনায় উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ শাহ আলম জানান, আসামী রফিকুল ভিকটিম রফিকুলের চাচা। গ্রেফতারকৃত আসামী ফেরদৌস আলম বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় হত্যার পরিকল্পনা, কিভাবে হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে তার বিশদ বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান জানান, গোপন তথ্য সংগ্রহ করে তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত ধরনীবাড়ি তেলিপাড়া গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩৫) ও একই গ্রামের মোঃ ফেরদৌস আলম (৩৫)কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মৃত রফিকুলকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি চাকু, একটি মোবাইল ও ৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে দু’জনকে গ্রফতার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে আরো যারা জড়িত, তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম জানান, হত্যাকান্ডের আলামত সহ জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধীরা যেই হোক, ধরা তাকে পরতেই হবে।নিরাপদ কুড়িগ্রাম গড়তে কাজ করা হচ্ছে। ফৌজদারি অপরাধ যেমন চুরি, ছিনতাই, মাদক, নারী নির্যাতনসহ শান্তিনবিনষ্ট কারী, উগ্রবাদ, সাইবার অপরাধের সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে জেলা পুলিশ।
//নিউজ/উলিপুর//জাহিদ/জানুয়ারি/২২/২৩