।। টেক ডেস্ক ।।
আমরা অনেকেই গান শুনতে কিংবা বিভিন্ন কাজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেডফোন ব্যবহার করছি। অনেকেই রাস্তার কোলাহল, বাসের হর্নের আওয়াজ এড়াতে হেডফোনের ব্যবহার করেন। যদি অভ্যাস এমনই হয়, তাহলে এখনি সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে হতে পারে মারাত্মক সমস্যা।
আমাদের কানের ভেতরের অংশে অর্থাৎ ইনার ইয়ারে থাকে ছোট ছোট লোম, বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম স্টেরিওসিলিয়া। আমরা যখন কোনো শব্দ শুনি তখন এ লোমগুলো কেঁপে ওঠে, এ কম্পন স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পাঠায় এক ধরনের বৈদ্যুতিক সংকেত। প্রতিনিয়ত যখন কেউ উঁচু ভলিউমে প্রতিনিয়ত কিংবা লম্বা সময় ধরে গান শোনেন, তখন স্টেরিওসিলিয়াতে স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে, যা শ্রবণশক্তি নষ্ট করে ফেলে। একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, টানা এক ঘণ্টার বেশি কেউ যদি কানে হেডফোন গুঁজে রাখেন, তবে তার শ্রবণক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে-
➤ হেডফোন কারও সঙ্গে শেয়ার না করাই ভালো। কারণ এতে করে সহজেই কানে সংক্রমণ হতে পারে। অন্য কারও কান থেকে ব্যাকটেরিয়া সহজেই হেডফোনের মাধ্যমে আপনার কানে আসতে পারে।
➤ হেডফোন ব্যবহার করলে সরাসরি অডিও কানে যায়। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে গেলে শ্রবণে সমস্যা হতে পারে। ফলে আজীবনের জন্য শ্রবণ শক্তি হারাতে পারেন আপনি। হাই ভলিউমে গান শোনা থেকে দূরে থাকুন।
➤ একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় হাই ভলিউমে গান শুনলে হেডফোন খোলার পরও কিছুক্ষণ ভালোভাবে কানে শোনা যায় না। টানা ১৫ মিনিট ১০০ ডেসিবেলের বেশি মাত্রায় গান শুনলে বধির হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। অতএব, আপনাকে এখন সতর্ক হতে হবে হাই ভলিউমে গান শোনার ব্যাপারে।
➤ হেডফোন কোম্পানিগুলো এখন তাদের হেডফোনের অডিও এক্সপেরিয়েন্সের দিকে বাড়তি নজর দিয়েছে। ফলে সাউন্ড কোয়ালিটি বজায় থাকে। বেশিরভাগ হেডফোন এয়ার-টাইট। অর্থাৎ কানে বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ঝুঁকি থেকেই যায় অনেকাংশে।
➤ হেডফোন থেকে সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। এক্ষেত্রে ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহারকারীদের ঝুঁকি বেশি থাকে। কেননা, সরাসরি কানের সঙ্গে মস্তিকের যোগাযোগ। তাই ব্যবহারকারীদের এখনই হেডফোন ব্যবহারে সর্তক হওয়া জরুরি।
➤ মাত্রাতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারের জন্য অনেকেই কানের ব্যথা অনুভব করে থাকেন। কখনো কখনো কানের ভেতরে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হয়।