।। জেলা প্রতিনিধি ।।
গত বর্ষা মৌসুমে তিস্তার ভাঙ্গনে চিলমারী ও উলিপুরের বজরা ইউনিয়নসহ সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ইউনিয়নের কারেন্ট বাজার এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গনে সহস্রাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে যায়। সেই সাথে নদীগর্ভে বিলীন হয় কারেন্ট বাজারটি। সে সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুড়িগ্রাম জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কুড়িগ্রাম বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিস্কাশন প্রকল্পের আওতায় ৫ কোটি ৭৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকায় ২শ ৫০ কেজি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৭৫ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং, ৭৫ কেজি ধারণ ক্ষমতা ৮১ হাজার ৭শ ৪৬টি স্যান্ড-সিমেন্ট গানি ব্যাগ প্লেসিং সহ ১ হাজার মিটার অংশে প্রাথমিক তীর প্রতিরক্ষার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হলে মোঃ হাসিবুল হাসান নামে এক ঠিকাদার কাজটি পান। পরবর্তীতে সামান্য কিছু বস্তা ডাম্পিং করা হলেও তিস্তার প্রবল স্রোত ও বন্যার কারণে কাজটি বন্ধ রাখা হয়। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজটি সমাপ্তির কথা থাকলেও এলাকাবাসী এই সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে কি না তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রয়া ব্যক্ত করেছেন। এলাকাবাসীর দাবী বর্ষা মৌসুমের আগেই কাজটি সম্পন্ন করা হোক।
ঐ এলাকার নুরজামাল হোসেন, কছিমন বেগম জানান, গত বছর তিস্তার ভাঙ্গনে বাড়ি-ঘর হারিয়ে তিস্তার বাম তীরে আশ্রয় নিয়েছি। সেটিও এখন ভাঙ্গনের মুখে। আগামী বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই নদীর তীর রক্ষা করা না হলে আবারও ভাঙ্গনে বাড়ি-ঘর, আবাদি জমিসহ সবকিছু হারিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাবো।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, কিছু স্বার্থন্নেসী মহল কাজের অগ্রগতি ব্যহত করতে কাদা মিশ্রিত বালু দিয়ে জিও ব্যাগ ভরাট করছে মর্মে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। তা না হলে এ কাজ এতদিনে আরো দৃশ্যমান হতো।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, রংপুর মোঃ মাহবুবর রহমান এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে পরিচালিত ট্যাক্সফোর্সের প্রতিনিধি দল গতকাল পরিদর্শন করে কাজের গুনগত মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি সিডিউল অনুযায়ী কাজ শেষের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ইং এর মধ্যেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। এসময় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//শাহীন/জানুয়ারি/১৫/২৩