।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে গুনাইগাছ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারীর বিরুদ্ধে সরকারি চাকুরী দেয়ার কথা বলে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাথের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক ভুক্তভোগী রবিবার (৮ জানুয়ারি) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) এ তথ্য ফাঁস হলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতাধীন গুনাইগাছ ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী পদে আফরোজা বেগম চাকুরী করে আসছেন। এই সুবাদে প্রতিবেশি পৌরসভার রামদাস ধনিরাম মিঞাপাড়া এলাকার আকবর আলীর ছেলে রুবেলের সাথে তার সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর রুবেলের স্ত্রীকে সরকারি চাকুরী দেয়ার কথা বলে ১৬ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। আফরোজা বেগম টাকা গ্রহণের সত্যতা হিসাবে ব্যাংকের ৬টি চেক প্রদান করেন পরবর্তীতে রুবেলের স্ত্রীর চাকুরী না দেয়ায় রুবেল ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে জানতে পারেন ওই সব চেক নাম্বারের বিপরীতে কোন টাকা গচ্ছিত নেই। এরপর রুবেল স্বাস্থ্য সহকারী আফরোজা বেগমের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি হুমকি ধামকি দিয়ে কয়েকদিন পর উল্টো রুবেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। পরবর্তীতে আদালত থেকে মামলাটি উলিপুর থানায় তদন্তভার প্রদান করেন। এরপর থানার কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা না পেয়ে রুবেলের টাকা পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন (স্মারক নং-৪৪৭৪, তারিখ-১/১২/২০২২)।
অভিযোগে আরোও উল্লেখ করা হয়, রুবেল পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য স্বাস্থ্য সহকারী আফরোজা বেগমকে কয়েকবার বললেও তিনি বিভিন্ন কৌশলে তা এড়িয়ে চলেন। এ ঘটনায় রুবেল বাধ্য হয়ে আফরোজা বেগমের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে প্রতারণার মামলা করেছেন। এছাড়া আফরোজা বেগমের স্বামীও বিভিন্ন মানুষকে সরকারি চাকুরী দেয়ার কথা বলে প্রতারনার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
রুবেল বলেন, স্বাস্থ্য সহকারী আফরোজা বেগম সরকারি চাকুরী দেয়ার কথা বলে আমার ১৬ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন মানুষের কাছে প্রতারণার মাধ্যমে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ঘটনায় আমি রোববার (৮ জানুয়ারী) আফরোজা বেগমের বিরুদ্ধে তার উর্দ্ধতন কর্মকর্তা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে গুনাইগাছ ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী আফরোজা বেগমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মেহেরুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।