।। জেলা প্রতিনিধি ।।
উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় কনকনে শীতের ঠান্ডায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম। জনমনে চরম ভোগান্তি। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ৯টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকাল ১১টার পর সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষজন।
হাসপাতালে শীত জনিত রুগির সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রেহাই পাচ্ছে না পশুপাখিরাও। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।
কনকনে ঠান্ডার কারণে জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবিদের। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার নদ-নদী অববাহিকার সাড়ে চারশতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষ।
জেলা সদরের চরসিতাইঝাড় এলাকার মো.হযরত আলী বলেন, ‘ঠ্যালা গাড়িতে বাশ নিয়ে হাটে যাচ্ছি। কিন্তু কনকনে ঠান্ডা ও শিরশির বাতাসের কারনে ঠ্যালা গাড়ি ঠেলে যাওয়া মুশকিল হয়ে পরছে।’ ধানের চারা রোপনে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে, পানিতে থাকা যাচ্ছে না।
সদরের ধরলা পাড়ের বাসিন্দা নন্দলাল রবিদাস বলেন, ‘ঠান্ডার কারনে দুদিন কাজে যাইনি। ঘরে খাবার নেই। তাই আজ নিরুপায় হয়ে কাজে বের হয়েছি। গরম কাপড় নেই। কিন্তু ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজ না করলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ইতোমধ্যে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে ১ লাখ ১৪ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।
এদিকে রাজারহাটে অবস্থিত কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা আগামী কয়েকদিন এ তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//শাহীন/জানুয়ারি/০৫/২৩