।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের দাপট। টানা দু’সপ্তাহ ধরে শৈত্যপ্রবাহের ফলে নাকাল অবস্থা কর্মজীবীদের। ঘন কুয়াশা আর হিমেল ঠান্ডা হাওয়ার কারণে বেশিরভাগ শ্রমজীবী মানুষ দেরীতে কাজে বের হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ এবার শীতে সরকারি-বেসরকারীভাবে সেভাবে এগিয়ে আসেনি কেউই। ফলে প্রতিদিন চাপ বাড়ছে বাড়ীতে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার জানান, সরকারিভাবে মাত্র ৫শ’ কম্বল পেয়েছি। মেম্বাররা ভাগে মাত্র ২২টি করে পেয়েছে। বিতরণ করতে গিয়ে হিমসীম অবস্থা।
একই উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুর রহিম রিপন জানান, কম্বল বিতরণ করতে গিয়ে শতশত মানুষের ঘেরাও’র মুখে পরেছি। তীব্র ঠান্ডার ফলে সবাই গরম কাপড় চাইছেন। কিন্তু আমরা দিতে না পেরে কটু কথা শুনে বিরাগভাজন হচ্ছি।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুর রহমান সরদার জানান, শীতের কারণে আউটডোরে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। তবে ২৫০ বেডের হাসপাতালে বেড়েছে ইনডোরে রোগীর সংখ্যা রবিবার (১ জানুয়ারি) ইনডোরে ৩৩৬ রোগী ভর্তি হয়েছে। এছাড়াও শিশু ও ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে ৪২বেডের বিপরিতে ৮২জন চিকিৎসাধীনে রয়েছে।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) তুহিন মিয়া জানান, রবিবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দমমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়ায়। এছাড়াও তিনি জানান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী জানুয়ারী মাসে দুটি মৃদু থেকে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। যা তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রুপ নিতে পারে। ফলে তাপমাত্রা ৮ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।
জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে ১লক্ষ ১৪হাজার কম্বলের চাহিদা প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। এছাড়াও ৩৮হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।