।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ৩ দিন ব্যাপী ইজতেমা। এ ইজতেমায় জেলা ও জেলার বাইরে থেকে প্রায় দুই লক্ষাধিক মুসল্লীর সমাগম ঘটে। আখেরি মোনাজাতে আগত মুসল্লিদের মাঝে কান্নার রোল পড়ে যায়। রবিবার (২৫ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ধরলা সেতুর পূর্বপাড়ে ফজলুল করীম রহঃ জামিয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তিনদিন ব্যাপী ইজতেমার সমাপ্তি হয়।
বাংলাদেশ মোজাহিদ কমিটির ব্যানারে আয়োজিত তিন দিনের এই ইজতেমায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমসহ উলামায়েকরামগণ।
মোনাজাত পূর্ব বয়ানে চরমোনাই পীর বলেন, ‘জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস হতে পারে না, আল্লাহ তা’আলাই সকল ক্ষমতার উৎস। এই বিশ্বাস সকল মুসলিমকেই লালন করতে হবে। সকল ইবাদতেই নিয়তের পরিশুদ্ধতা না থাকলে ইবাদত কবুল হবেনা।’
তিনি ইজতেমা ব্যবস্থাপনা কমিটি, আগত মুসল্লী, সাংবাদিকবৃন্দ, ইজতেমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের সকল সদস্য, এলাকাবাসীসহ বিশ্বের নিপীড়িত সকল মুসলমানের জন্য মাগফিরাত কামনা করেন।
এছাড়াও তিনব্যাপী বয়ানে ছিলেন বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা আব্দুল আউযাল, নও মুসলিম ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মুফতী রেজাউল করীম আবরার, রংপুর বিভাগীয় মুজাহিদ কমিটির সদর জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।
নাগেশ্বরী উপজেলা থেকে আসা মুসল্লী হাফিজুর রহমান বলেন, আমি বৃহস্পতিবার (২২ ডেসেম্বর) ইজতেমায় উপস্থিত হই আজ আখেরী মোনাজাত শেষে ফিরছি। মনে খুব শান্তি পাইছি। লাখো মানুষের সমাগম হয়েছে। গত ১০বছর ধরে আমি নিয়মিত আসি এ ইজতেমায়। আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায় এবং দেশ ও জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি এবং বিশ্বের সকল মুসলমানদের কল্যাণে মোনাজাত করা হয়।
পাঁচগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, লাখো মানুষের সুশৃঙ্খল পরিবেশে ফজরের নামাজ পড়েছি। মনে অনেক শান্তি। পরে আখেরী মোনাজাতে অংশ নিয়েছি।