।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারীতে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে আকালু(৫৫) নামে এক জেলের জালে ৪৫কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি উপজেলার পাম্পমোড় এলাকায় নিয়ে আসে মাছ ব্যবসায়ী সাজু মিয়া(৩৬)। এত বড় বাঘাইড় মাছ দেখতে পথচারীসহ উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। পরে মাছটি কেটে ৫৮হাজার ৫০০টাকায় বিক্রি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, রোববার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কাঁচকোল ঘাট এলাকার জেলে আকালু ব্রহ্মপুত্র নদে জাল ফেলেন। তার জালে ৪৫কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়ে। সেখানে উন্মক্ত ডাকে ১হাজার ২০০টাকা কেজি দরে মোট ৫৪ হাজার টাকায় তা কিনে নেন থানাহাট বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সাজু মিয়া। এ সময় ওই ঘাটে মাছটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমান। পরে বিকেলে উপজেলার পাম্পমোড় এলাকায় মাছ ব্যবসায়ী সাজু মিয়া ৪৫ কেজি ওজনের মাছটি কেটে ১হাজার ৩০০টাকা কেজি দরে মোট ৫৮হাজার ৫০০টাকায় খুচরা বিক্রি করেন।
মাছ ব্যবসায়ী সাজু মিয়া জানান, বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদে জেলেদের জালে প্রায়ই বিভিন্ন ওজনের বাঘাইড় মাছ ধরা পড়ছে। বাজারে এ মাছের চাহিদাও রয়েছে। বিভিন্ন ঘাট থেকে মাছ কিনে কেটে খুচরা বিক্রির কথা জানান তিনি।
উপজেলার মৎস্য অফিসার মো. নুরুজ্জামান খান জানান, এ সময়ে ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় মাছ ধরা পড়ছে। এরকম মাছ ধরা পড়লে জেলে ও ব্যবসায়ী উভয়ই খুশি হয়। মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে এই এলাকায় এ ধরনের মাছের জন্য অভয়াশ্রম গড়ে তুলে তাদের রক্ষা করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। যেন তারা নদীতে বংশ বিস্তার করতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল ১ অনুযায়ী ২৫টি প্রজাতি এবং তফসিল ২ অনুযায়ী ২৭ প্রজাতির, মোট ৫২ প্রজাতির মাছকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এ আইনের ৬ ধারা অনুযায়ী তফসিল ২-এ উল্লেখিত দানব বাঘাইড় মাছ শিকার বা বন্যপ্রাণী, মাংস, ট্রফি, অসম্পূর্ণ ট্রফি, বন্যপ্রাণীর অংশবিশেষ অথবা এসব থেকে উৎপন্ন দ্রব্য দান, বিক্রি বা কোনো প্রকারে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কারো কাছে হস্তান্তর নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
//নিউজ/চিলমারী//জাহিদ/ডিসেম্বর/০৪/২২