।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
শারীরিক সুস্থতার জন্য সুস্থ ও সুন্দর ত্বক অপরিহার্য। শীতে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের যত্ন নেওয়াও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। শীতকালে ত্বক আর্দ্রতা হারিয়ে শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। তবে সঠিক রুটিন অনুসরণ করে ত্বকে পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে পুষ্টি। এতে ত্বক নরম ও মোলায়েম থাকবে।
শীতে ত্বকের যত্নে যা জরুরি-
গোসল: অনেকে শীতে গরম পানিতে গোসল করেন। এতে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে থাকে। কুসুম গরম পানিতে স্বল্প সময়ে গোসল শেষ করুন। গোসলে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষারীয় সাবান ব্যাবহার করুন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সাবান নির্বাচনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
ফেস ওয়াশ : অনেকেই ফেসওয়াশ ব্যবহার করনে। তবে শীতকালে ত্বক খুব শুষ্ক থাকে। তাই এই সময় দিনে মাত্র একবার বা সর্বোচ্চ ২ বার মুখ ধোয়া উচিত।
টোনার: মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই টোনার লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে ত্বক অনুযায়ী টোনার বেছে নিন।
সিরাম : সিরাম ত্বকে সঠিক পুষ্টি জোগায়। এর সাহায্যে বার্ধক্যের লক্ষণ এবং ব্রণও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই শীতকালে ত্বকে অবশ্যই সিরাম ব্যবহার করুন।
ময়েশ্চারাইজার: সিরাম লাগানোর পর, শীতকালে ত্বকে পুষ্টি জোগাতে অবশ্যই লাগান ময়েশ্চারাইজার। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের নিঃসৃত তেল সংরক্ষণে সহায়তা করে এবং ত্বক মসৃণ রাখে। গোসলের পর পরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো। শীতকালে ত্বকে পুষ্টি জোগাতে অবশ্যই লাগান ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বককে নরম রাখে।
ঠোঁটের যত্ন: শীতকালে ঠোঁটের যত্ন নেওয়াও জরুরি। কারণ এই সময় ঠোঁট ফেটে যায়। এক্ষেত্রে শুষ্ক ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন।
নাইট ক্রিম: শীতের দিনে রাতে ঘুমানোর আগে নাইট ক্রিম লাগান। এটি ত্বককে কোমল এবং উজ্জ্বল রাখবে। ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকবে।
পোশাক: টাইট ফিট এবং সিনথেটিক পোশাক ত্বককে আরও শুষ্ক ও রুক্ষ করে এবং অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। কাজেই আরামদায়ক এবং প্রাকৃতিক তন্তু দিয়ে তৈরি পোশাক পরিধান করুন। পলিয়েস্টার, লিলেন, নাইলন ইত্যাদি পরিহার করুন।
মনে রাখবেন, একজিমা, সোরিয়াসিস, ইকথাওসিস ইত্যাদি রোগে যারা ভুগছেন শীতে তাদের ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস, ভাইরাস ও পরজীবী জনিত ত্বকের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
কাজেই শীতে ত্বকের যত্ন নিতে নিচের বিষয়গুলো মেনে চলুন-
১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলুন।
২. খোলামেলা ও আলোকিত পরিবেশে থাকার চেষ্টা কর।
৩. চিন্তা মুক্ত থাকুন।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।