।। নিউজ ডেস্ক ।।
জীবন মানেই যুদ্ধ। জীবনের নানা মহুর্তে মানুষকে জীবনের সাথে যুদ্ধ করে চলতে হয়। এমনি এক জীবন যুদ্ধে নেমেছে মেধাবী প্রতিবন্ধী আবদুল হালিম। তার বাড়ী উলিপুরের সাহেবের আলগা ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের দুর্গম দৈ খাওয়া চরের চেরাগের আলাগা গ্রামে।
জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী হলেও প্রচন্ড মেধাবী হালিম। অভাবের সংসার তাদের। অভাবের কারণে তার বাবা সন্ত্মানকে মামার বাড়ীতে রাখে। মামার কাছেই থেকে স্কুল ও কলেজ জীবনে শেষ করে। স্থানীয় “এগিয়ে যাবে কুড়িগ্রাম” নামের একটি মানবিক সংগঠনের সহায়তায় তিন মাস বিশ্ববিদ্যালয় কোচিংও করে কুড়িগ্রাম শহরে। টাকার অভাবে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেবার সুযোগও পায়নি। তবে রাজশাহী, ঢাকা ও গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে চান্স পেয়েছে। তার বাবা গ্রামের কয়েকজন মানুষের কাছে ২ হাজার ও মামার কাছে কিছু টাকা ধার নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেছে তাকে। কিন্তু এই ভর্তির এখন পড়াশুনা কিভাবে করবে তার খরচ কে চালাবে নিজেও জানেনা হালিম। ৫ বোন ও ২ ভাই তারা। তাদের সংসারে আর্থিক অনটন হলেও পড়াশুনায় কোনদিন অবহেলা করেনি হালিম। তার বাবা নুরুল ইসলাম একজন দিনমজুর। দিনমজুরী করে যা আয় করে তা দিয়ে তাদের সংসারে খাবার জোটে নতুবা পুরো পরিবার উপোস থাকতে হয়।
ছোট বেলা থেকে প্রচন্ড মেধাবী বলেই তাকে পড়ালেখা কোন বাধাই থেমে রাখতে পারেনি। অদম্য ইচ্ছে আর মানুষিক শক্তি তাকে এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে। হালিম স্বপ্নদেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক হওয়া। জন্মগত প্রতিবন্ধী হলেও তার অদম্য ইচ্ছাকে থামিয়ে রাখতে পারেনি। তার দুঃখের কথা শুনে “এগিয়ে যাবে কুড়িগ্রাম” নামের এক মানুবিক সংগঠন সহয়তার হাত বাড়ায়। শুরু হয় জীবনের আর এক অধ্যায়। ধার দেনা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও কিভাবে পড়াশুনা করবে আগামীতে জানেনা সে।
ক্যাম্পাসে প্রতি মাসে তার ৪হাজার টাকা লাগবে। কিন্তু কে দিবে এত টাকা। তাহলেই তার পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যাবে, এই দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তার। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতায় পারে তার জীবনকে উজ্জল করতে।
//নিউজ/উলিপুর//শাহিন/নভেম্বর/০৪/২২