।। নিউজ ডেস্ক ।।
অসুস্থ হলেই সেবা নিতে যেখানে ছুটে আসেন মানুষ। সেই হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যখন নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ভরসা তখন হারিয়ে যায় মানুষের। ঠিক তেমনটিই হয়েছে চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর দশা। দিনে দিনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চিকিৎসার অভাবে নিজেই অসুস্থ হয়েছে পড়েছে। ভেঙ্গে পড়ছে অবকাঠামো। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছাদ ও দেওয়াল থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ চুয়ে পড়ছে পানি। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা রয়েছে নিরাপত্তাহীনতায়।
জানা গেছে, চিলমারী উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনের বেহাল দশা। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। আর সেই ঝুকিপুর্ণ ভবনে গাদাগাদি করে কোন রকমে চলছে চিকিৎসাসেবা। পুরাতন ভবনের সিলিং খসে পড়লেও নেই কারো কোন মাথাব্যাথা। এরই মধ্যে কয়েকবার সিলিং খসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে অনেকে। এমতাবস্থায় ঝুঁকিপুর্ণ ভবনে রোগীরা দিন কাটাচ্ছে চরম আতঙ্কে। পুরাতন ভবনের পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের সিলিং থেকে প্রায় সময় খসে পড়ছে পলেস্তারা। শুধু ওয়ার্ডে নয় ভবনের বেশ কিছু স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল এবং ওয়াল ও সিলিং খসে পড়েছে। শুধু রোগীরা নয় পলেস্তারা খসে পড়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক ও নার্সরাও। ভবনের বেহাল দশা হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তার অফিস রুমটিও রয়েছে ঝুঁকিতে। শুধু পুরাতন ভবনটি নয় প্রায় ১৪ থেকে ১৫ বছর আগে নির্মিত নতুন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ন হয়েছে পড়েছে।
হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীরা জানান, ছাদের আর ওয়ালের যে অবস্থা রাত কাট খুব ভয়ে ভয়ে। মহিলা ওয়ার্ডের সেবা নিতে আসা কয়েকজন বলেন, হাসপাতালের দুরবস্থায় আমার সব সময় আতঙ্কে থাকি।
কর্মরত কয়েকজন নার্স বলেন, সব সময় ভয় লাগে কখন যে কার মাথার উপর ছাদের পলেস্তারা ভেঙ্গে পড়ে।
ভবনের বেহাল দশা স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, কাজ চলমান রয়েছে দ্রুত এর সমাধান করা হবে।