।। নিউজ ডেস্ক ।।
চির পরিচিত সাদা ডিমের পরিবর্তে এবার নাগেশ্বরীতে মিললো পাতি হাঁসের কালো ডিম। এর আগে ভোলা জেলার চর ফ্যাশনে এ ধরণের ঘটনা জেনেছে মানুষজন। তবে এ নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই কালো ডিম দেখতে শতশত মানুষ ভিড় করছে ওই বাড়িতে।
নাগেশ্বরীর নদী বিছিন্ন নারায়নপুর ইউনিয়নের পরামানিক গ্রামে একটি পাতি হাঁস দু’টি কালো ডিম পেরেছে। হাঁস কালো ডিম পারায় ওই এলাকায় নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। তবে হাঁসের এমন কালো ডিম পাড়াকে অস্বাভাবিক বলছে প্রাণীবিদরা।
সরজমিন দেখা যায়, ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা নারায়নপুর ইউনিয়নের পূর্ব নারায়নপুর পরামানিক পাড়ার বাহার আলীর ছেলে ইব্রাহিম বিয়ে থা করলেও এখনও অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। লেখা পড়ার পাশাপাশি বাড়িতে থেকে কৃষি কাজ করেন তিনি। প্রায় ৬ মাস আগে শশুর বাড়ি থেকে পাঁচটি হাঁস উপহার পান। হাসগুলো বড় হবার পর গত ২৯ অক্টোবর একটি হাঁস ডিম দেয়। সকালে সেই ডিম দেখে অবাক হয়ে যায় ইব্রাহিম। সাদা ডিমের পরিবর্তে দেখতে পান কালো ডিম। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা ওই ডিম দেখতে ছুটে আসেন তার বাড়িতে। পরদিন ৩০ অক্টোবর আবারও একই ধরনের আরেকটি কালো ডিম দেয় হাঁসটি। এ ঘটনা ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পরে চারদিকে। দূর দূরান্ত থেকে কালো ডিম দেখতে ছুটে আসতে থাকেন মানুষজন।
ইব্রাহিম আলী জানান, প্রায় ৬মাস আগে উপহার পাওয়া পাঁচটি হাঁসই দেশীয় প্রজাতির পাতি হাঁস। এর মধ্যে একটি পুরুষ হাঁস। এদের মধ্যে দুটি কালো রং এর হাঁস রয়েছে। তারই একটি কালো হাঁস এমন কালো ডিম দিয়েছে। হাঁসটি শনি, রবিবার দু’দিন দু’টি কালো রংয়ের ডিম পাড়লেও সোমবার কোন ডিম পাড়েনি। তবে এখনো সুস্থ ও সবল রয়েছে হাঁসটি।
ইব্রাহিমের স্ত্রী রেহেনা বেগম জানান, হাঁসগুলোকে স্বাভাবিক খাবার দেয়া হয়। এছাড়া প্রাকৃতিকভাবেই সেগুলো প্রতিপালন করা হচ্ছে। হাঁসগুলোর মধ্যে কোন অস্বাভিকতা নেই।
পরামানিক পাড়ার মোজাহার আলী (৭০) বলেন, আমার বয়সে এইবার প্রথম হাঁসের কালো ডিম দেখলাম। কোন দিন শুনিও নাই হাঁস কালো রংয়ের ডিম দেয়। কালো ডিম পেড়েও হাঁসটি অন্যান্য হাসের মতো স্বাভাবিক চলা ফেরা করছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: আশিকুজ্জামান জানান, সাধারণত হাঁস কালো ডিম পাড়ে না। কুড়িগ্রামে হাঁস কালো ডিম পাড়ার ঘটনা দ্বিতীয়। প্রথম ভোলার চর ফ্যাশনে হাঁস কাল ডিম দেয়। জিংডিং জাতের এক প্রকার হাঁস হালকা নীল রঙের ডিম দেয়। এছাড়াও ভারতীয় ব্রিডের কাদার নাথ বা কালো মাসি জাতের মুরগি কালো ডিম পাড়ে। যার মাংসও কালো। জরায়ুর কোনো সমস্যার কারণে হাঁস কালো ডিম পাড়তে পারে। সাধারণত ডিমের খোসাটি ১৯ ঘণ্টা হাঁসের জরায়ুতে থাকে। কালো ডিম পাড়ার ঘটনাটি অস্বাভাবিক ।