।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারীতে পরকীয়া সন্দেহের জের ধরে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী-কে হত্যার চেষ্টা। এলাকাবাসী আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে ১সন্তানের জননী সুমি আক্তারকে। অভিযুক্ত স্বামী পলাতক।
জানা গেছে, থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়ি হাট এলাকার আব্দুল হাই এর ছেলে আনারুল ইসলামের সাথে চিলমারী ইউনিয়নের ঢুষমারা এলাকার ছক্কু মিয়ার মেয়ে সুমি আক্তারের সাথে ৬বছর আগে বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তাদের একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। সুমির স্বামী আনারুল রাজমিস্ত্রীর কাজ করার সুবাধে এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কাজ করার সুবাদে প্রায় সময় বাহিরের থাকতে হতো। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ছোট ভাইয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন স্বামী আনারুল এবং বিভিন্ন ভাবে তাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন বলে জানান সুমি আক্তার। সন্দেহের কারণে গত জুলাই আনারুল স্ত্রী সন্তান সহ শশুর বাড়ি চলে যান। স্ত্রী সন্তানকে শশুর বাড়ীতে রেখে কাজের উদ্যোশে ঢাকা যান। বাহিরে থাকা অবস্থায় রাতে কিংবা দিনে ফোন দিয়ে মামার সাথে প্রেমের সম্পর্ক আছে সন্দেহ করে বিভিন্ন ভাবে মানসিক নির্যাতন করতেন। ঘটনার দিন বুধবার ফোনে স্ত্রীকে জোড়গাছ হরিণের বনে ডেকে নেন। স্ত্রী সুমি আসলে কথা আছে বলে তাকে নিয়ে উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ঝাকুয়া পাড়া একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যান এবং হঠাতেই ওড়না দিয়ে আনারুল তার স্ত্রীর গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাস রোধ করে। মৃত্যু হয়েছে ভেবে স্ত্রী সুমি কে ফেলে চলে যান আনারুল। পরে স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সুমিকে উদ্ধার করে চিলমারী হাসপাতালে ভর্তি করায়।
এ বিষয়ে সুমি আক্তার বলেন, আমার স্বামী আমার দেবর, মামাসহ বিভিন্ন জনকে নিয়ে সন্দেহ করে এবং বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল, যদিও আমি কোন অপরাধ করিনি এরপরেও আমি সব নির্যাতন সহ্য করে আসছি, ঘটনার দিন আমার স্বামী মোবাইলে ডাকলে আমি বাবার বাড়িতে সন্তানকে রেখে রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ হরিণের বনে গিয়ে তার সাথে দেখা করি, এসময় আমাকে নিয়ে ঝাকুয়া পাড়া এলাকায় একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে বসতে বলে এবং হঠাতেই আমার ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। তিনি আরো বলেন, আমি আর কিছু বলতে পারিনা পরে দেখি এলাকার লোকজন আমার চারপাশে।
এ ব্যাপারে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, ঘটনার লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
//নিউজ/চিলমারী//জাহিদ/অক্টোবর/২৬/২২